বিজেপির মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার হুমকির পাল্টা ‘নির্বোধ’ বলে কটাক্ষ করলেন নীতীশ কুমার। ফাইল চিত্র।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন সে রাজ্যের বিজেপি সভাপতি সম্রাট চৌধরি। রবিবার তার পাল্টা জবাব দিলেন নীতীশ। মাত্র একটি শব্দের প্রত্যুত্তরে জেডি(ইউ) নেতা বলেন, ‘নির্বোধ’। পরে অবশ্য সংবাদমাধ্যমের জোরাজুরিতে তিনি বলেন, “যদি তাঁরা এমন কিছু বলে থাকেন, তবে বলুন সেটা করতে। যাঁরা এই ধরনের কথা বলছেন, তাঁরা আসলে নির্বোধ। বিজেপির নতুন প্রজন্মের নেতাদের কোনও বোধবুদ্ধি নেই।” তিনি যে এই বিষয়ে আর বাক্যব্যয় করতে চান না, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
এই বিষয়ে আর মন্তব্য করতে না চেয়ে নীতীশ জানান, দেশের স্বার্থে বিরোধী জোট গঠনকেই পাখির চোখ করে এগোতে চাইছেন তিনি। তাঁর কথায়, বিরোধী জোট গঠন করার জন্য আমি কাজ করে চলেছি। এই কাজে আমার নিজস্ব কোনও স্বার্থ বা উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই। সূত্রের খবর, আগামী মঙ্গলবার কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একটি বৈঠক হতে পারে নীতীশের। দুই মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ নিয়ে কোনও পক্ষই এখনও পর্যন্ত মুখ না খুললেও মনে করা হচ্ছে ওই বৈঠকের পরেই বিরোধী জোট নিয়ে মুখ খুলতে পারেন তাঁরা।
শনিবার বিজেপি সভাপতি সম্রাট চৌধরি নীতীশকে আক্রমণ করে বলেন, “বিজেপি বিধায়কদের কাঁধে ভর করে নীতীশ কুমার পাঁচ বার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু তিনি বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একই সঙ্গে ধোঁকাও দিয়েছেন।” পটনায় বিজেপির উদ্যোগে ভামাশাহ জয়ন্তী উপলক্ষে এক সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। সেই সভা থেকেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ‘মিট্টি মে মিলা দেঙ্গে’র সুরেই নীতীশ কুমারকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ওই বিজেপি নেতা।
ওই বিজেপি নেতা আরও জানান, যখন গোটা বিহার নীতীশ কুমারকে বর্জন করেছে, ঠিক সেই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর উপর ভরসা রেখেছেন। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছেন। এর পরই দলের সমস্ত কর্মী এবং সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “যদি আবার নীতীশ কুমার পাল্টি খান, তা হলে আগামী ২০২৪ এবং ’২৫-এর নির্বাচনে নীতীশ কুমারকে রাজনৈতিক ভাবে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়াই হবে আমাদের সকলের লক্ষ্য।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy