নাসিমা খাতুন। ছবি পিটিআই।
যৌনকর্মীর মেয়ে। তাই নাসিমা যখন এক মনে পড়াশোনা করত, যৌনপল্লির প্রতিবেশীরা বলতেন, “পড়াশোনা শিখে কী করবি? সেই তো দেহ বেচেই খেতে হবে।” তরুণী নাসিমার এখনও মনে পড়ে রাত বাড়লে বাড়িতে পুলিশ আসত। আর ঠাকুমা তখন তাঁর হাতে বই তুলে দিয়ে ভিতরের ঘরে গিয়ে পড়াশোনা করতে বলতেন। সেই নাসিমাই এখন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ১৩ জন উপদেষ্টার অন্যতম। যৌনপল্লির নাবালিকা-সহ প্রান্তিক স্তরের মেয়েদের সমাজের মূলস্রোতে ফেরানোর কাজে তাঁর উপরেই আস্থা রেখেছে মানবাধিকার কমিশন।
বিহারের মুজফ্ফরপুরের চতুর্ভুজ স্থান এলাকার একটি যৌনপল্লিতে জন্ম নাসিমার। জীবনে বহু ঝড়ঝাপটার মোকাবিলা করা নাসিমা উচ্চশিক্ষা শেষ করার পর তৈরি করেন ‘পারচম’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সেই সংস্থার মাধ্যমেই যৌনকর্মীদের স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন করা এবং যৌনকর্মীর সন্তানদের লেখাপড়ায় উৎসাহিত করার কাজ করতেন তিনি। নাসিমার সেই কাজকে স্বীকৃতি দিল মানবাধিকার কমিশন।
মানবাধিকার কমিশনের উপদেষ্টা হওয়ার পর সংবাদ মাধ্যমের তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সম্মানিত। ছোট পরিসরে আমি যে কাজ করতাম, তা এ বার আরও বৃহৎ মঞ্চে করতে পারব বলে আশা করছি। নিজের চোখের সামনে যা দেখেছি, সেই অভিজ্ঞতাগুলো কাজে লাগিয়ে প্রয়োজনে কমিশনকে পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy