গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
লখিমপুর খেরিতে কৃষক হত্যার নিন্দা করলেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গাঁধী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লেখা চিঠিতে লিখলেন, ‘লখিমপুর খেরির ঘটনা আমাদের গণতন্ত্রের কলঙ্ক।’ লখিমপুর-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিসের শাস্তিরও দাবি তুলেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলনে যোগদানকারী ৭০০ কৃষকের ‘শহিদ হওয়া’, ফসলের ন্যূনতম সহায়কমূল্য না পাওয়ার মতো প্রসঙ্গেরও উল্লেখ রয়েছে। আন্দোলনকারী কৃষকদের উপর থেকে মামলা প্রত্যাহারের পাশাপাশি শহিদ কৃষক পরিবারগুলিকে ১ কোটি টাকা করে অর্থসাহায্য দেওয়ারও দাবি তুলেছেন। লিখেছেন, ‘কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি আন্দোলনে অংশ নেওয়া কৃষকদের হেনস্থা করার অস্ত্র হিসেবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল।’ বরুণের মতে কেন্দ্র যদি আগেই কৃষি আইন প্রত্যাহারের পথে হাঁটত তবে এত কৃষকের মৃত্য়ু ঘটত না।
অক্টোবরের গোড়ায় লখিমপুরে কৃষক হত্যার পরেই ঘটনার নিন্দা করেছিলেন বরুণ। মহাত্মা গাঁধীর জন্মদিবসে নাথুরাম গডসের স্তুতির প্রতিবাদেও সরব হয়েছিলেন। ঘটনাচক্রে, এর পরেই বিজেপি-র জাতীয় কর্মসমিতি থেকে ছেঁটে ফেলা হয় পিলিভিটের সাংসদকে। বাদ পড়েন তাঁর মা তথা সুলতানপুরের বিজেপি সাংসদ মেনকাও।
তার পরেও চুপ থাকেননি বরুণ। সম্প্রতি বিজেপি ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের মন্তব্যেরও কড়া সমালোচনা করেন তিনি। কঙ্গনা বলেছিলেন ‘‘১৯৪৭ সালে পাওয়া স্বাধীনতা আসলে স্বাধীনতা নয়। ছিল ভিক্ষা। স্বাধীনতা তো ২০১৪ সালে এসেছে।’’ জবাবে বরুণ বলেন, ‘‘মহাত্মা গাঁধীর ত্যাগকে খাটো করা, তাঁর হত্যাকারীকে শ্রদ্ধার্ঘ্য দেওয়ার কথা তো ছেড়েই দিলাম। এ বার মঙ্গল পাণ্ডে, রানি লক্ষ্মীবাঈ, ভগৎ সিংহ, চন্দ্রশেখর আজাদ, সুভাষচন্দ্র বসু-সহ লক্ষ লক্ষ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান করা হচ্ছে। এই ধরনের চিন্তাভাবনাকে পাগলামি বলব না কি দেশদ্রোহ বলব?’’
বিজেপি-র অন্দরে কোণঠাসা বরুণ দল ছাড়তে পারেন বলে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। তাঁর ‘সম্ভাব্য গন্তব্য’ হিসেবে তৃণমূলের নামও এসেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy