প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
‘সুকরিয়া ভাইজান’।
এ ভাইজান বলিউডের নয়। এ হলেন রাজনীতির ভাইজান, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যে ভাইজানকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজ থেকে মুসলিম মহিলারা বিজেপিকে ভোট দেওয়ার পণ করে প্রচারে নামলেন। রামমন্দির নিয়ে দেশ জুড়ে উন্মাদনার মধ্যেই মুসলিম মহিলাদের ভোট নিশ্চিত করতে মাঠে নেমে পড়লেন বিজেপি নেতৃত্ব।
প্রাথমিক ভাবে ‘সুকরিয়া মোদী ভাইজান’ নামে ওই জনসভা আজ লখনউ থেকে শুরু হল। বিজেপি জানিয়েছে, রাজ্যের ৭৫টি জেলায় ছড়িয়ে থাকা ৮০টি লোকসভা কেন্দ্রেই অন্তত একটি করে ওই সভা হবে। যাতে অংশ নেবেন স্থানীয় মুসলিম মহিলারা। প্রতি সভাপিছু অন্তত তিন থেকে চার হাজার মুসলিম মহিলার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে
চাইছে বিজেপি।
সংখ্যালঘু সমাজের পিছিয়ে পড়া পসমন্দা শ্রেণির পাশে থাকার বার্তা দীর্ঘ সময় ধরে দিয়ে আসছেন নরেন্দ্র মোদী। পরবর্তী ধাপে সংখ্যালঘু মহিলাদের আস্থা অর্জনে কোমর বাঁধলেন বিজেপি নেতৃত্ব। অতীতে মুসলিম মহিলাদের হাত থেকে রাখি পরার কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। এখন ভোটের আগে মোদী সরকারের নীতির কারণে মুসলিম মহিলাদের ব্যক্তিগত জীবনে ও পারিবারিক জীবনে কী ধরনের পরিবর্তন হয়েছে, তা লোকসভা নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে গিয়ে প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। দলের লক্ষ্য, উত্তরপ্রদেশে যে মুসলিম মহিলারা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন, তাঁদের দলের সঙ্গে সংযুক্ত করা। বিজেপির পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজ্যের অত্যন্ত আড়াই কোটি মুসলিম পরিবার বর্তমানে বিনামূল্যে রেশন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, আয়ুষ্মান ভারত, পানীয় জল, উজ্জ্বলা যোজনার ফায়দা পেয়ে থাকে। এই সব পরিবারের মহিলা ভোট যাতে বিজেপির পক্ষে আসে, তা নিশ্চিত করতেই ‘সুকরিয়া ভাইজান’ কর্মসূচি।
মোদী সরকারের আমলেই তিন তালাক প্রথা নিষিদ্ধ হয়েছে। বিজেপি নেতৃত্ব মনে করেন, ওই নিয়ম বাতিল হওয়ায় মুসলিম মহিলাদের জীবন আগের থেকে সুগম হয়েছে। মুসলিম মহিলাদের কাছে মোদী বা বিজেপির প্রতি যে ভরসার জায়গা তৈরি হয়েছে, তারই প্রতিফলন দেখা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশ বা সাম্প্রতিক মধ্যপ্রদেশের ভোটে। বিজেপির সংখ্যালঘু নেতা শাহনওয়াজ হুসেন বলেন, ‘‘অতীতে কংগ্রেস, এসপি বা বিএসপি মুসলিমদের ভয় দেখিয়ে ভোট সংগ্রহ করত। কিন্তু বিজেপি কাজের মাধ্যমে সংখ্যালঘু সমাজের ভোট নিশ্চিত করতে চায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy