ছবি: পিটিআই।
যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) গড়ে রাফাল-তদন্ত করানোর দাবি তুলেছেন রাহুল গাঁধী। সংসদের অধিবেশন শুরুর আগেই সেই দাবি নাকচ করল বিজেপি ও সরকার। আজ প্রশান্ত ভূষণ, অরুণ শৌরীরাও দাবি করলেন, এ বারে সিবিআই তদন্ত শুরু করুক। নয়তো ফের তাঁরা আদালতে যাবেন। বিজেপি অবশ্য রাহুল গাঁধীকেই নিশানায় রেখে পথে নামছে গোটা দেশে।
সুপ্রিম কোর্ট গত কাল রাফাল নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার দাবি আরও এক বার খারিজ করেছে। কিন্তু বিচারপতি কে এম জোসেফ রায়ে সহমত হয়েও পৃথক রায়ে বলেছেন, দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত সিবিআই করতে চাইলে বাধা নেই। রাহুল সেটিকেই পুঁজি করে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে জেপিসি তদন্তের দাবিতে ফের সরব হয়েছেন। তদন্ত চেয়ে প্রশান্ত ভূষণ, যশোবন্ত সিন্হা, অরুণ শৌরীরা আগেই সিবিআই নির্দেশকের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। সেই সময়ের সিবিআই নির্দেশক অলোক কুমারকে অবশ্য সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দিল্লিতে আজ সাংবাদিক বৈঠকে ভূষণ-শৌরীরা দাবি তোলেন, সিবিআই তদন্ত শুরু করুক। তাঁরা এক সপ্তাহ অপেক্ষা করবেন। তার পরে সিবিআই নির্দেশককে ফের চিঠি লিখবেন। তদন্ত শুরু না-হলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন আবার।
শৌরী মনে করেন, সরকার সিলবন্ধ খামে তথ্য দিয়ে শীর্ষ আদালতকে বিপথে চালিত করেছে। সিবিআই ‘খাঁচার তোতা’ হলেও তাদেরই তদন্ত করতে হবে। কংগ্রেসের অনেকেও এখন মনে করেন, সুপ্রিম কোর্ট নিজের সীমাবদ্ধতার কথা বারবার জানিয়েছে। কিন্তু নিজেরা তদন্তে নাক না-গলালেও আরও খোলাখুলি সিবিআইকে দিয়ে তদন্তের কথা বলতে পারত!
আরও পড়ুন: প্রত্যাশা পূরণ না-করেই বিদায় বিচারপতি গগৈয়ের
সরকারকে চেপে ধরতেই কংগ্রেস জেপিসির কথা বলছে। সংসদের অধিবেশন শুরুর দু’দিন আগে মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বললেন, ‘‘(জেপিসি তদন্তের) কোনও প্রশ্নই নেই।’’ রাহুলকে ক্ষমা চাইতে হবে— এই দাবি তুলতে বিজেপি এ দিনই দিল্লির নেতাদের পাঠিয়েছিল কংগ্রেস দফতরের সামনে। কাল থেকে গোটা দেশের সব জেলায় আন্দোলনে ঝাঁপাবে দল। বিজেপির ভূপেন্দ্র যাদব বলেন, ‘‘সু্প্রিম কোর্টে ক্ষমা চেয়ে রেহাই পেয়েছেন। তার পরেও মিথ্যা বলে চলেছেন। ফলে জনতার কাছেও তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত।’’ বিজেপির বক্তব্য, সব বিচারপতিই একমত হয়ে রায়ে জানিয়েছেন এফআইআর, মামলা চালানোর কোনও ভিত্তিও নেই। রাহুল ফের যা বলছেন, তা আর একটি আদালত অবমাননার সমান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy