ফাইল ছবি।
স্বপ্ন মাটি স্পর্শ করতে এখনও বেশ কয়েকটা বছর বাকি। তার আগেই প্রধানমন্ত্রীর বুলেট ট্রেন প্রকল্পের বাস্তব ভিত্তি প্রশ্নের মুখে। কারণ, যে মুম্বই-অমদাবাদ রুটে প্রথম ট্র্যাকে উড়ে যাবে বুলেট ট্রেন, সে পথেই রেল মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। সম্প্রতি তথ্যের অধিকার আইনে এক প্রশ্নের উত্তরে এমনটাই জানা গিয়েছে।
রেলের দেওয়া জবাব থেকে জানা গিয়েছে, ওই রুটে যাত্রীরা স্লিপার শ্রেণিতেই বেশি স্বচ্ছন্দ। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির অনেক টিকিট অবিক্রিতই থেকে যায়। রেল সূত্রে খবর, গত তিন মাসে ৬০ শতাংশ যাত্রী নিয়েই এই রুটে ছুটছে সুপার ফাস্ট ট্রেনগুলি। ৪০ শতাংশ আসন খালি থাকছে। এই রুটে জুলাই থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে রেলের, জানিয়েছেন এক শীর্ষ রেল আধিকারিক। এখানেই শেষ নয়। রেলের দেওয়া উত্তর থেকে জানা গিয়েছে, বর্তমানে কোনও নতুন ট্রেন এই রুটে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনকী, এই রুটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্রেন শতাব্দী এক্সপ্রেসেরও মাত্র অর্ধেক টিকিট বিক্রি শেষ তিন মাসে।
আরও পড়ুন: বিচারকদের বেতন বাড়াতে কি ভুলে গিয়েছেন? কেন্দ্রকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
গত মাসেই গুজরাতের সবরমতী স্টেশন থেকে ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন প্রকল্পের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। প্রায় ১ লক্ষ ৮ হাজার কোটি টাকা খরচে তৈরি হচ্ছে মুম্বই অমদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্প।
আরও পড়ুন: ভাবতেই পারছেন না এই ছবিটা কার! দেখলে চমকে যাবেন
কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর, ২০২২ সালের মাঝামাঝিই শেষ করা হবে কাজ। কারণ, স্বাধীনতার ৭৫ বছর ২০২২-এ। সে বছরের ১৫ অগস্টই বুলেট ট্রেনের উদ্বোধন চান প্রধানমন্ত্রী মোদী। এই প্রকল্পের জন্য ভারতকে ৮৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ হিসাবে দিচ্ছে জাপান। তবে অত্যন্ত কম সুদে, মাত্র ০.১ শতাংশ হারে। প্রকল্পটির জন্য জাপান থেকে অন্তত ১০০ জন ইঞ্জিনিয়ার এবং বিশেষজ্ঞ ইতিমধ্যেই ভারতে চলে এসেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy