আহত বাস চালক। ছবি সংগৃহীত।
শরীরে গুলি লাগার পরেও বাস থামাননি তিনি। নিজের কর্তব্যে অবিচল থেকে রক্তাক্ত অবস্থাতেই বাস নিয়ে সোজা থানায় চলে যান চালক। ডাকাতদের হাত থেকে যাত্রীদের বাঁচান তিনি। মহারাষ্ট্রের বাস চালকের কীর্তিতে খুশি যাত্রীরা। সাধুবাদ জানাচ্ছেন নেটাগরিকেরাও।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাতে মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে মিনি বাসে চেপে অমরাবতী ফিরছিলেন বেশ কয়েক জন। বাস ভাড়া করেই মন্দির দর্শন করতে নাগপুর গিয়েছিলেন তাঁরা। ফেরার পথে হাইওয়ে ধরে যখন বাস ছুটছিল, তখন আচমকাই একটি এসইউভি পুণ্যার্থীদের বাস আটকানোর চেষ্টা করে। বার বার বাসের সামনে চলে আসছিল বলে অভিযোগ। তার পর হঠাৎই ওই গাড়ি থাকা এক জন বন্দুক বার করে চালককে লক্ষ্য করে গুলি করেন। সেই গুলি গিয়ে লাগে চালকের হাতে।
জানা গিয়েছে, আহত বাস চালকের নাম কোমদেব কাওয়াড়ে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল থেকেই তিনি বলেন, ‘‘গাড়ি নিয়ে আমাদের বাস বার বার থামানোর চেষ্টা করছিলেন ডাকাতেরা। তাঁদের উদ্দেশ্যই ছিল বাসের মধ্যে লুটপাট চালানো। আমি বাস না থামনোয় আমাকে গুলি করে। ভাগ্য জোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছি। গুলি আমার ডান হাতে লাগে।’’
হাতে গুলি লাগলেও বাস থামাননি কোমদেব। হাতের ক্ষত থেকে রক্ত ঝরছে, সেই অবস্থাতেই বাস চালিয়ে নিয়ে সোজা থানায় চলে যান তিনি। ৩০ কিলোমিটার রাস্তা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাস চালান কোমদেব। তার পর পুলিশকে সব কথা জানিয়েই থানার মধ্যে অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, এসইউভি-র খোঁজ শুরু হয়েছে। আহত বাস চালকের কাছে ওই গাড়ির নম্বর জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি শুধু জানান, এসইউভি-র নম্বর প্লেটে কোনও নম্বর লক্ষ্য করতে পারেনি তিনি। তবে গাড়িটি যে উত্তরপ্রদেশের তা নিশ্চিত করেছেন বাসচালক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy