কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ত্রিপুরার বন দফতরের তিন শীর্ষ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করার সুপারিশ করল ত্রিপুরা লোকায়ুক্ত।
বিচারপতি প্রদীপকুমার সরকার তাঁর নির্দেশে জানিয়েছেন— পিসিসিএফ সনাতন তালুকদার, প্রাক্তন সিসিএফ দেবাশিস চক্রবর্তী এবং দফতরের অ্য্যাকাউন্টস অফিসার অমলেন্দু দেববর্মা সরকারি টাকা নয়ছয় করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ মিলেছে।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, জেট্রোফা চাষ প্রকল্পে ত্রিপুরার বন দফতরকে ১০ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১০-২০১১ সালের রিপোর্টে ‘অডিটর অ্যান্ড কম্পট্রোলার জেনারেল’ (সিএজি) জানায়, তার মধ্যে ৭ কোটি ৫২ লক্ষ টাকার হিসেব মিলছে না। এর পরই বন দফতরের তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে লোকায়ুক্তে অভিযোগ দায়ের করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ওই তিন বনকর্তা জেট্রোফা প্রকল্পের খরচের ‘অসঙ্গতিপূর্ণ’ হিসেব দাখিল করেছেন।
২০১৬ সালের মে মাসে লোকায়ুক্তকে দেওয়া পুলিশের রিপোর্টে জানানো হয়— সনাতন তালুকদার এবং দেবাশিস চক্রবর্তী তথ্যপ্রমাণ লুকানোর চেষ্টা করেছেন।
রাজ্য সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে লোকায়ুক্ত তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে পারে। কিন্তু ত্রিপুরার লোকায়ুক্ত আইন (২০০৮) অনুযায়ী, সে ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের অনুমতি প্রয়োজন। জেট্রোফা প্রকল্পে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বন দফতরের ওই তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য ত্রিপুরা সরকারের অনুমতি চেয়ছে লোকায়ুক্ত। অভিযুক্ত এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব লিখিত ভাবে লোকায়ুক্তকে জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy