Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Chhota Rajan

দাউদের সঙ্গী খুনে বেকসুর ছোটা রাজন! ২৩ বছরের পুরনো মামলায় অব্যাহতি

২০১৫ সালে ইন্দোনেশিয়ায় গ্রেফতারির পর গ্যাংস্টার ছোটা রাজনকে ভারতে নিয়ে আসা হয়েছিল। বর্তমানে তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন ছোটা রাজন।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২২ ২১:৩০
Share: Save:

আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের এক সঙ্গীকে খুনের মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন গ্যাংস্টার ছোটা রাজন। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত জানাল, ছোটা রাজনের আর এক নাম যে ‘নানা’— এমন কোনও প্রমাণ মিলছে না। তাই ১৯৯৯ সালের ওই খুনের মামলায় ছোটা রাজনকে বেকসুর ঘোষণা করল আদালত।

ঘটনাটি ১৯৯৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর। রাত ১০টা নাগাদ গাড়ি নিয়ে মুম্বইয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন অনিলকুমার নির্ভয় নারায়ণ শর্মা। তিনি দাউদের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন। অনিল বসেছিলেন চালকের পাশের আসনে। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন তাঁর এক সঙ্গী। তেলি গলির রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি গাড়ি এসে তাঁদের পথ আটকায়। কিছু বুঝে ওঠার আগে চলে গুলি। অনিল নিজেও একাধিক অপরাধের ঘটনায় জড়িয়েছিলেন। বেশ কিছু শুটআউট মামলায় তাঁর নাম ছিল পুলিশের খাতায়। সেই তাঁকেই গুলি করেন আর এক জন। ওই মামলায় নাম জড়ায় ছোটা রাজনের।

পরে সিবিআইয়ের অতিরিক্ত চার্জশিটে ছোটা রাজনের নাম ছিল। অভিযোগ, অনিলকে গুলি করার সময় এক দুষ্কৃতী চেঁচিয়ে বলেছিলেন, ‘নানার সঙ্গে শত্রুতা করলে কী ফল হয় দেখেছিস?’’ এক সাক্ষী দাবি করেন এই ‘নানা’ আসলে ছোটা রাজন।

যদিও আদালতে ছোটা রাজনের আইনজীবী দাবি করেন ‘নানা’ যে তাঁর মক্কেল বা ওই নামের কেউ তাঁর ঘনিষ্ঠ এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দীর্ঘ সওয়াল জবাবের পর ২৩ বছরের পুরনো মামলায় ছোটা রাজনকে বেকসুর ঘোষণা করল আদালত। অবশ্য আগেই ওই মামলার সমস্ত অভিযুক্ত বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ইন্দোনেশিয়ায় গ্রেফতারির পর গ্যাংস্টার ছোটা রাজনকে ভারতে নিয়ে আসা হয়েছিল। বর্তমানে তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন রাজন। গ্যাংস্টারের বিরুদ্ধে চলা বহু মামলা মুম্বই পুলিশের থেকে নিজেদের হাতে নিয়েছে সিবিআই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Chhota Rajan CBI Dawood Ibrahim
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE