চন্দা কোছার। ফাইল চিত্র।
স্বজনপোষণের অভিযোগ আগেই উঠেছিল আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের সিইও চন্দা কোছারের বিরুদ্ধে।এবার চন্দার স্বামী দীপক কোছারের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করল সিবিআই। ফলে চন্দার বিড়ম্বনা আরও বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে। অভিযোগ, ২০১২ সালে ভিডিওকন গ্রুপের কর্ণধার বেণুগোপাল ধুতকে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা ঋণ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে চন্দাবেশ কিছু অনৈতিক সুবিধা নিয়েছিলেন। এই ঘটনায় দীপক কোছারের পাশাপাশি ভিডিওকনের বেণুগোপাল ধুতের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই।
জানা গিয়েছে, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকার মধ্যে ২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা শোধ করেনি ভিডিওকন। ২০১৭ সালে সেই ঋণকে অনুৎপাদক সম্পদ বলে ঘোষণা করেন আইসিআইসিআই কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে ব্যাঙ্কেরই এক শেয়ার হোল্ডার দাবি করেছেন, ঋণ পাওয়ার জন্য চন্দার স্বামী দীপককে মোটা টাকা দিয়েছিলেন বেনুগোপাল।
তাঁর অভিযোগ, ২০১০ সালে দীপক কোছারের সংস্থানিউ পাওয়ার রিনিউয়েবল প্রাইভেট লিমিটেডকে বেণুগোপাল দিয়েছিলেন ৬৪ কোটি টাকা। ঋণ পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যেই তিনি আবার অন্যভাবে দীপক কোছার পরিচালিত একটি ট্রাস্টকে তিনি দিয়েছেন ৯ লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুন: নরেন্দ্র-নীরব তুলনা, রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা
আরও পড়ুন: ৩৩০ কোটির রাম মূর্তির জন্য দরবার আদিত্যনাথের
জানা গিয়েছে, দীপক কোছার এবং বেণুগোপাল ধুতের মধ্যে সত্যিই কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখবে সিবিআই। যদি লেনদেন হয়েও থাকে, তবে কি তা দেওয়া হয়েছিল ঋণ পাওয়ার জন্য? এমন সম্ভাবনাও কিন্ত সিবিআই কর্তারা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। যদিও আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক কিন্তু এখনও চন্দার পাশেই রয়েছে। তাদের বক্তব্য, ভিডিওকনকে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কমিটি। চন্দা একা নন। ফলে এই ঘটনার মধ্যে কোনও স্বার্থের বিষয় নেই বলেই তাদের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy