Advertisement
১৭ মে ২০২৪
Manipur Clash

উন্মত্ত জনতার হাতে দুই নির্যাতিতাকে ফেলে পালিয়ে যায় পুলিশ! মণিপুরের সেই ঘটনা নিয়ে জানায় সিবিআই

মণিপুরে গোষ্ঠীহিংসার সময় সে রাজ্যের চূড়াচাঁদপুর জেলায় দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর অভিযোগ ওঠে। তাঁদের একজনকে ধর্ষণ করারও অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় হয় দেশ।

CBI probe found Manipur women who were paraded naked, approached police car but denied

মণিপুরে পাহারায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:২৮
Share: Save:

সাহায্যপ্রার্থী দুই নির্যাতিতাকে ফেলে পালিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। মণিপুর হিংসা নিয়ে পেশ করা চার্জশিটে এমনই জানিয়েছে সিবিআই। সিবিআইয়ের চার্জশিটে দেওয়া এই তথ্যকে উদ্ধৃত করে মঙ্গলবার ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদন অনুসারে, মণিপুরে গোষ্ঠীহিংসার সময় সে রাজ্যের চূড়াচাঁদপুর জেলায় দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর অভিযোগ ওঠে। তাঁদের একজনকে ধর্ষণ করারও অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় হয় গোটা দেশ। প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়েছে, দুই নির্যাতিতা পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশের গাড়ি উন্মত্ত জনতার হাতেই তাঁদের ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। কার্যত পালিয়ে যায় পুলিশ।

গত ৩ মে থেকে গোষ্ঠীহিংসায় অশান্ত উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য মণিপুর। হিংসা শুরু হওয়ার অনেক পরে এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসে। দুই নির্যাতিতার একজন গত ৪ মে-র সেই অভিজ্ঞতার কথা জানান। তাঁর দাবি, খুনের ভয় দেখিয়ে দুষ্কৃতীরা সে দিন তাঁদের জনসমক্ষে পোশাক খুলতে বাধ্য করেছিল। তিনি আরও জানান, সে দিন তাঁর বাবা এবং ভাইকে খুন করেছিল উন্মত্ত জনতা। কিন্তু অভিযুক্তদের কেউ গ্রেফতার হননি।

এই ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর গত অক্টোবর মাসে গুয়াহাটির একটি বিশেষ আদালতে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। সেখানে এক নাবালক-সহ মোট সাত জনের নাম ছিল। তবে তদন্তকারীরা জানান, ঘটনার দিন প্রায় ৮০০ থেকে ১০০০ জন উন্মত্ত অবস্থায় পিছু নিয়েছিলেন দুই নির্যাতিতার।

‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর প্রতিবেদনে সিবিআইয়ের চার্জশিটকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, উন্মত্ত জনতার হাত থেকে প্রাণে বাঁচতে দুই নির্যাতিতাই ওই এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের একটি গাড়ির কাছে দৌড়ে যান। গাড়ির চালককে তাঁরা অনুরোধ করেন, সেখান থেকে উদ্ধার করার জন্য। কিন্তু পুলিশের গাড়ির চালক বলেন, “চাবি নেই।” তখন ওই গাড়িতে বসেছিলেন নিগ্রহের শিকার হওয়া দুই পুরুষও। বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও গাড়ির চালক পালিয়ে যান। তার পর ওই দু’জনের উপর অত্যাচার চালায় উন্মত্ত জনতা।

আগেই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে এক নির্যাতিতা দাবি করেছিলেন যে, মণিপুর পুলিশের চার জন সদস্য ঘটনার দিন উপস্থিত থাকলেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। সিবিআইয়ের চার্জশিটেও সেই বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি ধরা পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Manipur CBI police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE