প্রতীকী ছবি।
নীরব মোদী-মেহুল চোক্সীর ব্যাঙ্ক জালিয়াতি মামলার মাঝপথেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিবিআই) থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তদন্তকারী দলের প্রধান রাজীব সিংহকে। ব্যাঙ্ক নিরাপত্তা এবং জালিয়াতি দমন শাখা (বিএসএফসি)-র প্রধান হিসাবে নিয়োগের মাত্র আট মাসের মধ্যেই সিবিআই থেকে তাঁর ‘হোম ক্যাডার’ বা নিজের রাজ্যে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘিরে প্রশ্ন উঠছে সিবিআইয়ের অন্দরেই। আড়াই হাজার কোটি টাকার সারদা চিটফান্ড কাণ্ডের তদন্তেরও নিউক্লিয়াস ছিলেন ত্রিপুরা-মণিপুর ক্যাডারের ১৯৯৩ ব্যাচের এই আইপিএস অফিসার। গোটা তদন্তে তার সাফল্যের জন্য তিনি রাষ্ট্রপতি পদকও পেয়েছেন।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে রাজীব সিংহকে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি সংক্রান্ত তদন্তের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেয় সিবিআই। ব্যাঙ্ক জালিয়াতি শাখার প্রধান হিসাবে ১৩ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকার পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক জালিয়াতির তদন্তের দায়িত্বও বর্তায় তাঁর উপর। সেই মামলায় নীরব মোদী এবং মেহুল চোক্সীর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। কিন্তু, বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ায় গোটা মামলা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এমনটাই ধারণা সিবিআই আধিকারিকদের একাংশের।
যদিও সরকারি ভাবে সিবিআইয়ের দাবি, ত্রিপুরা সরকার থেকেই অনুরোধ এসেছে রাজীব সিংহকে হোম ক্যাডারে ফিরিয়ে দেওয়ার। তাই নির্দিষ্ট সময় শেষ হবার আগেই এই সিদ্ধান্ত। ঠিক একই কারণে ত্রিপুরা ক্যাডারের অন্য দুই অফিসার অনিশ প্রসাদ এবং কে গোপাল কৃষ্ণ রাওকেও নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সিবিআই থেকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জঙ্গলমহলে জমি ফেরাতে ভরসা ‘ভারতী মডেল’?
তবে সিবিআইয়ের অন্য এক অংশ মনে করিয়ে দিচ্ছেন রাজীব সিংহকে ঘিরে সাম্প্রতিক বিতর্ককে। রাজীব সিংহ মূলত ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগের বাসিন্দা। তাঁর ভাই সঞ্জীব সিংহের বিরুদ্ধে ছ’কোটি টাকার জালিয়াতি মামলার তদন্ত চলছে। সেই মামলারও তদন্ত করছে সিবিআই। অভিযোগ, সেই মামলাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন রাজীব সিংহ। সেই অভিযোগ যদিও সিবিআইয়ের তরফে অস্বীকার করা হয়েছিল।
এই তিন জন ছাড়াও স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের জোনাল ডিরেক্টর নীনা গুপ্তকেও নির্ধারিত সময়ের আগেই অব্যাহতি দিয়ে সিবিআই থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে তাঁর নিজের রাজ্য রাজস্থানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy