ফাইল চিত্র।
জয়ললিতার মৃত্যুর পর থেকেই ডামাডোল চলছে তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে। অথচ স্থায়ী কোনও রাজ্যপাল নেই রাজ্যে। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সি বিদ্যাসাগর রাও তামিলনাড়ুর অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। দক্ষিণের এই রাজ্যে অবশেষে বনওয়ারিলাল পুরোহিতকে রাজ্যপাল নিয়োগ করল কেন্দ্র।
জয়ললিতার মৃত্যুর পরে ক্ষমতা দখলের লড়াই, এডিএমকে-র দু’ভাগ হয়ে যাওয়া, দাবি ও পাল্টা দাবির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে রাজ্যপালের ভূমিকা। অভিযোগ ওঠে, বিজেপিই মেঘের আড়াল থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতা জিইয়ে রেখে তামিলনাড়ুতে পায়ের তলায় জমি পেতে চাইছে। এডিএমকের দুই শিবির এক হয়ে যাওয়ার পরে এখন স্থায়ী রাজ্যপাল পেল তামিলনাড়ু। পুরোহিত এত দিন ছিলেন অসমের রাজ্যপাল।
নাগপুরের তিন বারের সাংসদ পুরোহিত প্রথমে ছিলেন কংগ্রেসে। কংগ্রেসে থাকাকালীনই অংশ নেন অযোধ্যার করসেবায়। পরে যোগ দেন বিজেপিতে। কিন্তু সেখানেও থাকেননি দীর্ঘদিন। তৈরি করেন নিজের পার্টি। এর পরে আবার কংগ্রেস ঘুরে ফের যান বিজেপিতে। এ-হেন পুরোহিতকে তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল করে পাঠানোর পরে ডিএমকে নেতা টি কে এস এলানগোভান কটাক্ষ করেছেন, ‘‘রাজ্যপাল বিজেপির নির্দেশেই কাজ করবেন। ফলে তামিলনাড়ুর পরিস্থিতির কোনও বদল হবে না।’’
পুরোহিতের জায়গায় অসমের নতুন রাজ্যপাল হলেন দিল্লির বিজেপি নেতা জগদীশ মুখী। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এ দিন বিহার, অরুণাচলপ্রদেশ ও মেঘালয়েও নতুন রাজ্যপাল নিয়োগের সিদ্ধান্তে সিলমহর বসিয়েছেন। নতুন উপরাজ্যপাল পেয়েছে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, প্রাক্তন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল দেবেন্দ্র কুমার জোশী।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার আগে কোবিন্দ নিজে ছিলেন বিহারের রাজ্যপাল। বিহারের নতুন রাজ্যপাল হচ্ছেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতা, দলের প্রাক্তন জাতীয় উপসভাপতি সত্যপাল মালিক। মেঘালয়ের রাজ্যপাল নিয়োগ করা হয়েছে বিহারের বিজেপি নেতা গঙ্গা প্রসাদকে। অরুণাচলপ্রদেশের দায়িত্ব পাচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তা ব্রিগেডিয়ার বি ডি মিশ্র। যিনি ১৯৬২-র চিন যুদ্ধে লড়েছেন, ভূমিকা নিয়েছিলেন ১৯৭১-এর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধেও। এনএসজি-র কম্যান্ডার হিসেবে ১৯৯৩-এ অমৃতসরে হাইজ্যাক হওয়া ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের যাত্রী-কর্মীদের উদ্ধার অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy