Advertisement
১৮ মে ২০২৪
Chinese Army

এ বার লে জেলায় চিনা অনুপ্রবেশ 

দিন দশেক আগে ওই এলাকার চাংথাং গ্রামের কাছে দুটি গাড়িতে ভারতীয় এলাকায় ঢুকে আসে জনা সাতেক চিনা।

— ফাইল চিত্র

— ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি ও শ্রীনগর শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৩৪
Share: Save:

গলওয়ান উপত্যকায় সমস্যা মেটেনি । তার মধ্যেই ফের লাদাখের লে জেলায় ফের অনুপ্রবেশ করল চিনারা। তবে এ নিয়ে ভারতীয় সেনা বা লাদাখ প্রশাসন মুখ খোলেনি। গত কাল লে জেলার রাশপো উপত্যকায় ডোকবুক কাকজুং এলাকার বাসিন্দাদের তোলা একটি ভিডিয়ো সামনে আসে। তাতে দেখা যাচ্ছে, দুটি গাড়িতে আসা চিনাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয়েরা।

ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি) সূত্রে খবর, দিন দশেক আগে ওই এলাকার চাংথাং গ্রামের কাছে দুটি গাড়িতে ভারতীয় এলাকায় ঢুকে আসে জনা সাতেক চিনা। তারা চিনা সেনা না স্থানীয় বাসিন্দা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ওই এলাকায় ভারতীয় যাযাবর জনজাতির সদস্যদের পশুচারণে আপত্তি জানায় তারা। চিনারা দাবি করে, ওই এলাকা চিনের নিয়ন্ত্রণাধীন। তাদের দাবির প্রবল প্রতিবাদ জানান স্থানীয়েরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান আইটিবিপি-র অফিসার-জওয়ানেরাও। তাঁরা দুটি গাড়িকে ঘিরে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত চিনারা ফিরে যায়। আইটিবিপি সূত্রের মতে, ওই এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা স্পষ্ট চিহ্নিত নয়। সেখানে ভারতীয় ও চিনা পশুপালকেরা পশুচারণ করতে যান। অতীতেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এখন ওই অঞ্চলে স্থিতাবস্থা রয়েছে। সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট স্তরে চিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে সরকারি ভাবে মুখ খুলতে রাজি নয় লাদাখ প্রশাসন বা সেনা। তবে স্থানীয় বিজেপি কাউন্সিলর নিয়োমা ইশে স্পালজ়াং ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমি পুরো ঘটনা জানি না।’’ নির্দল কাউন্সিলর কনচক স্টানজ়িন বলেন, ‘‘গত বছরে ভারতীয় পশুপালকেরা ওই এলাকায় যাননি। এ বার যেতেই চিনারা ভারতীয় এলাকার ৩০০ মিটার ভিতরে ঢুকে এসে দাবি করে, ওই এলাকা চিনের। তবে তারা ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Chinese Army Leh ITBP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE