বকেয়া করের পরিমাণ কত, বা কত পুরকর ধার্য হয়েছে ইত্যাদি তথ্য সরাসরি এসএমএস করে নাগরিকদের জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে করিমগঞ্জ পুরসভা। পুরপ্রধান শিখা সূত্রধরকে সামনে রেখে নতুন পুর বোর্ডের সিদ্ধান্তের কথা আজ ঘোষণা করেন উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের কংগ্রেস সরকার পুরসভাগুলোকে যথেষ্ট টাকা দিয়েছে। কংগ্রেস পরিচালিত করিমগঞ্জ পুরসভারও টাকার কোনও ঘাটতি হবে না। করিমগঞ্জ শহরের নাগরিকরা যাতে সমস্যার সম্মুখীন না হন তার জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে চলেছে পুর কর্তৃপক্ষ।
পাঁচদিন আগে পুরপতির চেয়ারে বসা শিখা সূত্রধর অবশ্য আজকের সাংবাদিক বৈঠকে তাঁদের ধন্যবাদ দিয়েই নিজের কাজ সেরেছেন। তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন করিমগঞ্জ পুরসভায় কোনও কর বৃদ্ধি করা হয়নি। ফলে আর্থিক দৈনতায় ভুগছে পুরসভা। তাই নতুন করে বাড়ি-জমির মূল্যায়ণ করা হবে। সে ক্ষেত্রে করদাতারা নিজেরাই নিজেদের সম্পত্তির মূল্যায়ণ করবেন। আগামী তিন মাসের মধ্যেই নাগরিক এ সংক্রান্ত ফর্ম হাতে পেয়ে যাবেন বলেও কমলাক্ষবাবু জানান। আগামী তিন মাসের মধ্যে করিগমঞ্জ পুরসভায় অনলাইন সার্ভিসও চালু হবে। সেখানে পুরসভা কোন তহবিল থেকে কত টাকা লাভ করেছে তা যেমন জানা যাবে, তেমনই পুর এলাকার নাগরিকদের এসএমএস করিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে তাঁর বকেয়া করের পরিমাণ। তিনটি এসএমএস পাঠানো হবে নাগরিকদের মোবাইলে। তাতেও যদি তিনি সাড়া না দেন তাহলে কর সংগ্রহকারীরা বাড়ি থেকে কর সংগ্রহ করতে যাবেন। এ ভাবেই পুরসভার কর সংগ্রহে জোর দেবে। করিমগঞ্জ পুর এলাকায় যাতে জল জমে বন্যার সৃষ্টি না হয় তার জন্য তাঁরা বিশেষ উদ্যোগী হবেন বলেও বিধায়ক জানান।
সাংবাদিক বৈঠকে করিমগঞ্জ পুরসভার উপ-পুরপ্রধান পার্থসারথি দাস বলেন, ‘‘দুর্নীতি শব্দটি করিমগঞ্জ পুরসভা থেকে দূর করাই হবে আমাদের প্রধান কাজ।’’ গত বৃহস্পতিবার পুর বোর্ডের প্রথম সভায় কিছু পুর সদস্য কাজের ‘সন্তুষ্টি শংসাপত্র’ ঠিকাদারকে সংশ্লিষ্ট পুর সদস্যর কাছ থেকে সংগ্রহ করার দাবি জানান। পার্থবাবু তা খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘এই শংসা পত্র দেওয়ার নামে ঠিকাদারের কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট পুর সদস্য অর্থ আদায় করেছেন, এমন নজির আমাদের কাছে রয়েছে। ফলে জনগণ যদি কাজে সন্তুষ্ট থাকেন তবে কারও শংসা পত্রের প্রয়োজন নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy