Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪

আবার চণ্ডীগড়, ধর্ষণ ছাত্রীকে

অভিযুক্ত বছর চল্লিশের এক ব্যক্তি। সপ্তাহখানেক আগেই এই শহরে আইএএস অফিসারের মেয়ে বর্ণিকা কুণ্ডূর পিছু নিয়ে তাঁকে হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে হরিয়ানা বিজেপি সভাপতির ছেলে বিকাশ বরালাকে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০১৭ ০১:২৯
Share: Save:

রেহাই নেই স্বাধীনতা দিবসেও!

১৫ অগস্ট অনুষ্ঠানের জন্য সকাল সকাল স্কুলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী। তবে সেখানে পৌঁছনোর আগেই তাকে অপহরণের পরে ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে চণ্ডীগড়ে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে চণ্ডীগড়ের সেক্টর ২৩ এলাকায়। অভিযুক্ত বছর চল্লিশের এক ব্যক্তি। সপ্তাহখানেক আগেই এই শহরে আইএএস অফিসারের মেয়ে বর্ণিকা কুণ্ডূর পিছু নিয়ে তাঁকে হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে হরিয়ানা বিজেপি সভাপতির ছেলে বিকাশ বরালাকে। তার পর থেকে শিরোনামে প্রায় রোজই উঠে আসছে চণ্ডীগড় শহর। ব্যতিক্রম হলো না স্বাধীনতা দিবসেও।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, মঙ্গলবার স্কুল থেকে ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার হয়েছে মেয়েটি। তবে পরে বোঝা যায়, স্কুল যাওয়ার পথেই নির্যাতন চালানো হয়েছে তার উপরে। এখানকার সেক্টর ২৩-এর চিলড্রেন ট্র্যাফিক পার্ক দিয়ে গেলে ওই ছাত্রীর বাড়ি থেকে স্কুলের রাস্তাটা কম পড়ে। তাই কিশোরী এগোচ্ছিল ওই পথ ধরেই। সেখানে আচমকা হানা দেয় বছর ৪০-এর লোকটি। তার পরে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: দুর্নীতি দমনে সরব মোদী, জবাব নেই নোট ফেরতের প্রশ্নে

এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনার পরে বিধ্বস্ত ওই কিশোরীর বয়ান থেকে যে তথ্য মিলেছে, তাতে জানা গিয়েছে, একটি লোকই সেখানে এসেছিল এবং তার হাতে ছুরি ছিল। চণ্ডীগড়ের সিনিয়র পুলিশ অফিসার এইশ সিঙ্ঘলের দাবি, ‘‘স্কুল যাওয়ার পথে মেয়েটি পিছনের গেট দিয়ে পার্কে ঢুকেছিল।’’ তার পরেই ওই ঘটনা।

বর্ণিকা-কাণ্ডের পরে দিন কয়েক আগেই এই শহরে নিরাপত্তার দাবিতে মোমবাতি মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন অসংখ্য মহিলা। মূল উদ্যোক্তা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তাতেও যে কিছু লাভ হয়নি, চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল স্বাধীনতা দিবসের সকালটা। মঙ্গলবার সওয়া আটটা নাগাদ মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ছুটির দিন বলে সেই সময়ে রাস্তাতেও বেশি যানবাহন ছিল না। পার্কেও খুব কম লোকজন ছিল।

ঘটনার পরে বাড়িতে ফিরে বাবা-মাকে সব জানায় ওই কিশোরী। পুলিশের কাছে যাওয়ার পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। সেই রিপোর্ট থেকেই জানা যায়, ধর্ষণের শিকার হয়েছে সে। পরে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে বয়ান দেয় মেয়েটি। অপহরণ, জোর করে আটকে রাখা ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE