Advertisement
১৯ মে ২০২৪

হোর্ডিং প্রচারে নজর কমিশনের

ভোটের প্রচারে ক্ষমতার চোখরাঙানি বা টাকার জোরে রাঁচির রাস্তার হোর্ডিং দখল করতে পারবে না রাজনৈতিক দলগুলি। এমনই ফরমান দিল নির্বাচন কমিশন। আজ রাঁচির ডিসি তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক বিনয়কুমার চৌবে জানিয়েছেন, গা-জোয়ারি করে হোর্ডিং দখল করা যাবে না। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের জন্য হোর্ডিং নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। তা মেনেই বিজ্ঞাপন দিতে হবে প্রার্থীদের।

প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায়
রাঁচি শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৪ ০২:৫৫
Share: Save:

ভোটের প্রচারে ক্ষমতার চোখরাঙানি বা টাকার জোরে রাঁচির রাস্তার হোর্ডিং দখল করতে পারবে না রাজনৈতিক দলগুলি। এমনই ফরমান দিল নির্বাচন কমিশন।

আজ রাঁচির ডিসি তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক বিনয়কুমার চৌবে জানিয়েছেন, গা-জোয়ারি করে হোর্ডিং দখল করা যাবে না। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের জন্য হোর্ডিং নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। তা মেনেই বিজ্ঞাপন দিতে হবে প্রার্থীদের।

ডিসি জানান, রাজধানী রাঁচিতে বর্তমানে বৈধ হোর্ডিংয়ের সংখ্যা হাজার দেড়েক। সে সবের তদারকি করে বিভিন্ন হোর্ডিং এজেন্সি। কিন্তু ভোটের প্রচারে ওই সংস্থাগুলি নিজেদের ইচ্ছেমতো রাজনৈতিক দলগুলিকে হোর্ডিং ভাড়া দিতে পারবে না। কোনও সংস্থার আওতায় থাকা ৫০ শতাংশ হোর্ডিং কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী ভাড়া দিতে হবে। বাকিগুলি অবশ্য থাকবে সংস্থাগুলির হাতেই। হোর্ডিংগুলি কোন কোন রাজনৈতিক দল ভাড়া নিচ্ছে তার উপর নজরদারি রাখতে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। যাতে রয়েছেন জেলা নির্বাচন দফতর, রাঁচি পুরসভা এবং তথ্য দফতরের আধিকারিকরা।

সরকারি ভবনের দেওয়ালে ভোট-প্রচারের লেখায় কয়েক বছর আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন কোনও বাড়ির দেওয়াল ব্যবহার করতে হলেও সংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিকের অনুমতি নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তা মানা হয় না বলে অভিযোগ।

কমিশনের এক কর্তার কথায়, “নিয়ম মেনে হোর্ডিং বিলি করা হলে বিশেষ কোনও রাজনৈতিক দল টাকার জোরে হোর্ডিং দখল করতে পারবে না। এজেন্সিগুলিকে কমিশনের নির্দেশ মেনে সে সব ভাড়া দিতে হবে।”

বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি দেখতে দু’দিন ধরে রাঁচিতে ছিলেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ভি এস সম্পত। তাঁর সঙ্গে বৈঠকের সময়ই হোর্ডিং বণ্টনের বিষয়টি তোলেন কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। কমিশনের অন্যতম কর্তা ওমপ্রকাশ শাহ জানান, বিজ্ঞাপন এজেন্সিগুলিকে তাদের কাছে থাকা হোর্ডিংয়ের সংখ্যা, সেগুলির অবস্থান-সহ অন্যান্য তথ্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিশনের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। আগামী কাল থেকেই হোর্ডিং বন্টন নিয়ে কমিশন কাজ শুরু করবে।

হোর্ডিং এজেন্সিগুলির একাংশের বক্তব্য, অনেক দেরিতে এই সিদ্ধান্তের কথা কমিশন ঘোষণা করেছে। রাজনৈতিক দলগুলি তাদের কাছ থেকে আগেই বেশিরভাগ হোর্ডিং ভাড়া নিয়ে নিয়েছে। কমিশনের নির্দেশে তাই জটিলতা তৈরি হতে পারে। শহরের একটি হোর্ডিং এজেন্সির কর্তা দীনেশ প্রসাদ বলেন, “আমাদের কাছ থেকে একটি রাজনৈতিক দল অনেক আগেই হোর্ডিং ভাড়া নিয়ে নিয়েছে। কোনও ভাবেই এখন তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE