প্রতীকী ছবি।
শুধুমাত্র দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে নয়। এ বার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় (ডিইউ), জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ), বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএইচইউ) মতো কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্নাতক স্তরে ভর্তির জন্য একটি সাধারণ প্রবেশিকা পরীক্ষা বা ‘কমন অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট’ (ক্যাট)-এর কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রশাসন সূত্রের খবর, জাতীয় শিক্ষানীতির দেখানো পথেই তৈরি হবে সেই পরীক্ষার রূপরেখা। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই পরীক্ষা চালু করতে চায় সরকার। কেন্দ্রীয় উচ্চশিক্ষা সচিব অমিত খারে এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই প্রবেশিকা পরীক্ষা চালু হচ্ছে।’’ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সাত সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল গড়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্নাতক স্তরে ভর্তির জন্য বছরে দু’বার এই পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে আপাতত এক বার পরীক্ষার কথাই ভাবা হচ্ছে। পরীক্ষার দায়িত্বে থাকছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)। সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, কম্পিউটারে পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষায় ‘কমন অ্যাপ্টিটিউড’-এর পাশাপাশি বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নও থাকবে। সে ক্ষেত্রে পছন্দমতো বিষয় বেছে নিতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। তবে সাধারণ জ্ঞান বা ‘কমন অ্যাপ্টিটিউড’ অংশটি সকলের জন্যেই বাধ্যতামূলক। সরকারের মতে, এই পরীক্ষা ব্যবস্থায় লাভবান হবেন পড়ুয়ারা। এক দিকে যেমন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আলাদা আলাদা পওরীক্ষা দেয়ার হয়রানি কমবে, তেমনই যাঁরা দ্বাদশে ভাল ফল করতে পারেননি, তাঁরাও স্নাতক স্তরে ভর্তির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফলে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টির প্রবণতাও কমবে।
আরও পড়ুন:মার্চেই দেশে ছিল দ্রুত গতির কোভিড স্ট্রেন, দাবি আইজিআইবি-র ডিরেক্টরের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy