করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। —নিজস্ব চিত্র।
ছড়িয়ে পড়ছে সাম্প্রদায়িক বিষ! দুর্ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। ঘরে ফেরেননি বহু জখম মানুষ। তার মধ্যেই ওড়িশায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা নিয়ে সমাজমাধ্যমের একাংশে ছড়িয়ে পড়েছে সাম্প্রদায়িক উস্কানি। সেই নিয়ে সমাজমাধ্যমেই কড়া বার্তা দিয়েছে ওড়িশা পুলিশ।
টুইটারে ওড়িশা পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, ফেসবুকের যে সকল প্রোফাইল ও টুইটারের যে সকল হ্যান্ডল থেকে ট্রেনের দুর্ঘটনার পিছনে সাম্প্রদায়িক কারণ রয়েছে এই বার্তা ছড়ানো হয়েছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। কোনও কোনও প্রোফাইলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গেই সাধারণ মানুষের প্রতি পুলিশের বার্তা— দুর্ঘটনা কেন হল তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব রেল পুলিশের। তারা তা যথায়থ ভাবে দেখছে। সুতরাং, এর বাইরে সমাজমাধ্যমে প্রচারিত কোনও ভুয়ো তথ্য পরিহার করাই উচিত।
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভুয়ো ও উস্কানিমূলক বার্তাগুলোয় বার বার ইঙ্গিত করা হচ্ছে বিশেষ এক সম্প্রদায়ের দিকে। কেন্দ্রীয় সরকারের গাফিলতির যে অভিযোগ উঠেছে তাকে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টাতেই ভুয়ো বার্তাগুলি ছড়ানো, দাবি এই বার্তা বিশেষজ্ঞের একাংশের। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আজ জানিয়েছেন, কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটির তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে রেলের ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেমে হঠাৎ পরিবর্তনের ফলে ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। এর সঙ্গে ‘কবচ’ তথা অটোমেটিক ট্রেন প্রোটেকশন সিস্টেমের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। রেল বোর্ডের এক আধিকারিক তাঁর কথায় সম্মতি জানিয়েছেন। ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা তার সম্পূর্ণ রিপোর্ট পেতে এখনও কিছু দিন লাগবে, জানিয়েছে রেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy