প্রতীকী ছবি।
প্রযুক্তির ব্যবহার যত বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে তত বাড়ছে সাইবার হামলা ও দুর্নীতি। আগামী দিনে সাইবার দুর্নীতি সব দুর্নীতিকে ছাপিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে ৫৭তম ডিজিপি সম্মেলনে। যা রুখতে প্রতিটি রাজ্যকে আলাদা করে পরিকাঠামো উন্নয়নের পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। আজ বৈঠকে কেন্দ্র ও রাজ্যের সমন্বয়ের মাধ্যমে সংবেদনশীল পুলিশবাহিনী গড়ে তোলার উপরে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নোটবাতিলের পর থেকে দেশে ডিজিটাল লেনদেন বেড়েছে। বিশেষ করে খুচরো লেনদেনের একটি বড় অংশই হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। সেই সঙ্গে বাড়ছে সাইবার দুর্নীতি। বিভিন্ন ব্যাঙ্কের গ্রাহকেরা যেমন সাইবার প্রতারণার শিকার হচ্ছেন, তেমনই সাইবার হামলার কারণে দেশের সুরক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান বিপদের মুখে। ডিজিপি সম্মেলনে সাইবার নিরাপত্তা রুখতে এন্ড টু এন্ড নিরাপত্তার পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে। যা নিশ্চিত করতে কেন্দ্র-রাজ্যের পাশাপাশি প্রয়োজনে বেসরকারি সাইবার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আজ জাতীয় তথ্য পরিচালনা পরিকাঠামো ব্যবস্থা গড়ে তোলার উপরে জোর দিয়েছেন। যাতে বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশবাহিনী ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের মধ্যে দ্রুত তথ্য বিনিময়ের পরিকাঠামো গড়ে ওঠে। তবে প্রযুক্তির পাশাপাশি, প্রথাগত পুলিশি টহলকে আরও শক্তিশালী করার উপরে জোর দিয়েছেন মোদী। সঙ্গে তাঁর পরামর্শ, ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করে পুলিশ বাহিনীকে আরও বেশি জনদরদি করে তুলতে হবে।
তিন দিনের সম্মেলনে উপস্থিত পুলিশ অফিসারেরা মেনে নিয়েছেন দেশের ডিজিটাল নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণ সুরক্ষিত নয়। যার সুযোগ নিচ্ছে জঙ্গি, অপরাধী, হাওয়ালার সঙ্গে যুক্ত কিংবা অতি-বাম সংগঠনগুলি। গত এক বছরে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ছাড়াও দিল্লির এমসে হওয়া সাইবার হামলা— চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে দেশের সাইবার নেটওয়ার্কের দুর্বলতাকে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, প্রায় সব রাজ্যের প্রতিনিধিরা মেনে নিয়েছেন, তাঁদের রাজ্যের সরকারি ব্যবস্থায় ডিজিটাল সিস্টেম চালু হলেও, তা একশো শতাংশ সুরক্ষিত নয়। আলোচনায় উঠে আসে, কেন্দ্রের তরফে নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করার প্রশ্নে বহু পদক্ষেপের সুপারিশ করা হলেও, তৃণমূল স্তরে পরিকাঠামো ও বিশেষজ্ঞ কর্মীদের অভাবে ‘ক্রিটিকাল ইনফর্মেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ তৈরি করা যাচ্ছে না। ফলে বিভিন্ন স্তরে সাইবার হামলার ঘটনা ঘটছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy