Advertisement
১৮ মে ২০২৪
Congress

সনিয়ার উত্তরসূরি বাছতে ১৭ অক্টোবর কংগ্রেসে ভোট, সভাপতি নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত

কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন সংক্রান্ত কমিটির ভারপ্রাপ্ত নেতা মধুসূদন মিস্ত্রি ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছেন। আগামী ১৭ অক্টোবর সভাপতি নির্বাচন হবে। গণনা ১৯ অক্টোবর।

বিদায়ী সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী।

বিদায়ী সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১১:৫৪
Share: Save:

কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হল। বৃহস্পতিবার দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক নির্বাচন সংক্রান্ত কমিটির ভারপ্রাপ্ত নেতা মধুসূদন মিস্ত্রি ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছেন।

প্রকাশিত নির্ঘণ্টে জানানো হয়েছে, সনিয়া গান্ধীর উত্তরসূরি বেছে নেওয়ার জন্য কংগ্রেসে আগামী ১৭ অক্টোবর ভোট হবে। ভোটগণনা ১৯ অক্টোবর। ২৪ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে। মনোনয়ন পরীক্ষা হবে ১ অক্টোবর। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ৮ অক্টোবর। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইচ্ছুক প্রার্থীদের মনোনয়পত্র তুলতে হবে নয়াদিল্লির ২৪ আকবর রোডের এআইসিসি সদর দফতর থেকে। তবে প্রতিটি রাজ্যেই থাকবে ভোটদানের ব্যবস্থা।

কংগ্রেসের সাংগঠনিক বিধির ১৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী, সর্বসম্মতিক্রমে কেউ সভাপতি হিসাবে মনোনীত হলে, কিংবা একের বেশি প্রার্থী না থাকলে নির্বাচনের প্রয়োজন পড়বে না। যদিও কিন্তু বর্তমান ঘটনাপ্রবাহ ইঙ্গিত দিচ্ছে, শেষ পর্যন্ত ২২ বছর পরে ফের কংগ্রেসের শীর্ষ পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। গান্ধী পরিবারের অনুগত অশোক গহলৌত বনাম ‘জি-২৩’ গোষ্ঠীর শশী তারুরের ভোট-যুদ্ধ দেখা যেতে পারে অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে।

রাজস্থানের তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী, ৭১ বছরের অশোক কংগ্রেসের প্রবীণ নেতাদের অন্যতম। ছাত্রাবস্থা থেকেই কংগ্রেস রাজনীতি করেছেন তিনি। ‘গান্ধী পরিবারের অনুগত এবং আস্থাভাজন’ হিসেবেই দলের অন্দরে তাঁর পরিচিতি। অন্য দিকে, তাঁর সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী তারুর ইউপিএ জমানায় কেন্দ্রে মন্ত্রী ছিলেন। ২০২০-র অগস্টে কংগ্রেসের অন্দরে ‘সুনেতৃত্বের অভাব এবং সাংগঠনিক সমস্যা’ তুলে ধরে অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়াকে যে ২৩ জন নবীন এবং প্রবীণ নেতা চিঠি পাঠিয়েছিলেন, সেই তালিকার অন্যতম নাম তারুরের। দলে স্থায়ী সভাপতি নির্বাচনের পাশাপাশি, ‘হাইকমান্ডের’ কর্মপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা সেই ‘বিদ্রোহী ২৩’ (জি-২৩ নামে যাঁরা পরিচিত)-এর মধ্যে গুলাম নবি আজাদ, কপিল সিব্বল, জিতিন প্রসাদের মতো কয়েক জন আগেই দল ছেড়েছেন।

বুধবার মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংহও সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০০০ সালে কংগ্রেস সভাপতি পদের জন্য ভোটাভুটি হয়েছিল। সেই নির্বাচনে সর্বভারতীয় কংগ্রেসের প্রাক্তন সহ-সভাপতি প্রয়াত জিতেন্দ্র প্রসাদকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন সনিয়া।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE