প্রতীকী ছবি
রাফাল চুক্তি নিয়ে সিএজি প্রশ্ন তোলায় কংগ্রেস নতুন করে মোদী সরকারকে নিশানা করার সুযোগ পেয়ে গেল।
বুধবারই সিএজি রিপোর্টে বলেছিল, ভারতের সঙ্গে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী রাফাল নির্মাতা ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশন ও এমবিডিএ-র অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও-কে সাহায্য করার কথা থাকলেও, তারা সেটা করছে না। অথচ মোদী জমানায় ২০১৬-তে ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তিতে বলা ছিল, দাসো চুক্তি-মূল্যের ৫০ শতাংশ মূল্যের প্রকল্প বা কাজের বরাত ভারতের কোনও সংস্থাকে দেবে বা প্রযুক্তিগত ভাবে সাহায্য করবে।
কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের প্রশ্ন, “সিএজি রিপোর্টে কি ঝোলা থেকে নতুন বেড়াল বেরিয়ে পড়ল?” তাঁর প্রশ্ন, চুক্তির শর্ত গত বছরের সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়ার কথা ছিল। এ বছরের ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পূরণ হওয়ার কথা। সরকার কি বলবে, এই শর্ত পূরণ হবে কি না?
সিএজি রিপোর্টে বলেছে, দাসো ও এমবিডিএ প্রাথমিক ভাবে প্রস্তাব দিয়েছিল, চুক্তির শর্তের ৩০ শতাংশ পূরণ করতে তারা ডিআরডিও-কে উন্নত মানের প্রযুক্তি দেবে। ডিআরডিও হালকা ওজনের যুদ্ধবিমানের জন্য কাবেরী নামক ইঞ্জিন তৈরি করতে এই প্রযুক্তিগত সাহায্য চেয়েছিল। এখনও পর্যন্ত তা মেলেনি।
লোকসভা ভোটের আগে রাফাল-চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাহুল গাঁধী প্রশ্ন তুলেছিলেন, ১২৬টি-র বদলে কেন ৩৬টি বিমান কেনা হল? রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হ্যাল-এর বদলে দাসো অনিল অম্বানীর দেউলিয়া সংস্থাকে ৩০ হাজার কোটি টাকার বরাত কার নির্দেশে কেন দিল, প্রশ্ন তোলেন রাহুল। এ বার হ্যাল-এর পরে ডিআরডিও-কেও বঞ্চিত করার অভিযোগ তুলে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, “প্রথমে মেক ইন ইন্ডিয়া হয়ে গেল মেক ইন ফ্রান্স। এখন ডিআরডিও-ও বঞ্চিত। মোদী অবশ্য বলবেন, সব ঠিকঠাক চলছে!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy