Advertisement
১৮ মে ২০২৪

গিরিরাজের মন্তব্যে তপ্ত বিহার রাজনীতি

এ বার ভোট শেষ হতেই আক্রমণ শানালেন রাজ্য বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ। তাঁর কথায়, ‘‘আরজেডি জেতায় অররিয়া সন্ত্রাসের আতুঁরঘরে পরিণত হবে।’’ যদিও হারের পর আজ বিজেপি প্রার্থী প্রদীপ সিংহ সরাসরি ‘দলীয় অন্তর্ঘাত’-এর অভিযোগ করেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পটনা শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৮ ০২:৪৪
Share: Save:

বিহারের অররিয়া লোকসভা আসনে হেরে তীব্র ক্ষোভ অব্যাহতই রাখলেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। ভোটের আগে দলের রাজ্য সভাপতি নিত্যানন্দ রায় বলেছিলেন, ‘‘যদি বিজেপি না জেতে তবে অররিয়া পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার কেন্দ্র হয়ে যাবে।’’ সেই মন্তব্যের জেরে নির্বাচন কমিশন একটি এফআইআরও দায়ের করে। এ বার ভোট শেষ হতেই আক্রমণ শানালেন রাজ্য বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ। তাঁর কথায়, ‘‘আরজেডি জেতায় অররিয়া সন্ত্রাসের আতুঁরঘরে পরিণত হবে।’’ যদিও হারের পর আজ বিজেপি প্রার্থী প্রদীপ সিংহ সরাসরি ‘দলীয় অন্তর্ঘাত’-এর অভিযোগ করেছেন।

শুধু গিরিরাজ বা নিত্যানন্দ রায় নন, রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদীও দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রে আরজেডি প্রার্থীর এক লক্ষ ৩০ হাজার ভোটে লিড পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সুশীল মোদী বলেন, ‘‘অররিয়া লোকসভা কেন্দ্রের ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে চারটিতে আমাদের প্রার্থী জিতেছেন। কিন্তু দু’টি সংখ্যালঘু প্রধান বিধানসভা কেন্দ্রে এক তরফা ভোট হওয়ায় আমরা হেরেছি।’’

তবে গিরিরাজ এবং সুশীল মোদীর মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে রাবড়ীদেবী। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘হর হর মোদী, ঘর ঘর মোদী স্লোগান ব্যর্থ হয়েছে। সে কারণেই হতাশায় এমন কথা বলছেন বিজেপি নেতারা।’’ তাঁর দাবি, গিরিরাজ নিঃশর্ত ক্ষমা চান।

এ দিন অবশ্য অররিয়া লোকসভা কেন্দ্রের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী প্রদীপ সিংহ হেরে যাওয়ার কারণ হিসেবে ‘অন্তর্ঘাত করার’ অভিযোগ তোলেন। দলের নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, ‘‘রানিগঞ্জ এবং ফরবেসগঞ্জে অনেক কম ভোট পেয়েছি। অনেক বুথে দলীয় এজেন্টই বসানো হয়নি। ভুয়ো ভোট দেওয়া হয়েছে অনেক জায়গায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE