বিজেপি-আরএসএসে মহিলাদের গুরুত্বের অভাব বোঝাতে খোঁচা দিলেন রাহুল গাঁধী। সে জন্য অস্ত্র হিসেবে বেছে নিলেন আরএসএসের পুরনো পোশাক হাফপ্যান্টকে। জবাবে মহিলাদের ক্ষমতায়ন সম্পর্কে রাহুলের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন তুলল বিজেপি।
গুজরাতে নির্বাচনী প্রচারের দ্বিতীয় দিনে বডোদরায় পড়ুয়াদের মুখোমুখি হন রাহুল। সেখানেই বিজেপি-আরএসএসকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি মহিলাদের চুপ করিয়েই রাখতে চায়। আরএসএসে ক’জন মহিলাকে হাফপ্যান্ট পরে কাজ করতে দেখা যায়? আমি কখনও দেখিনি। কংগ্রেসে সব স্তরে মহিলারা কাজ করছেন।’’
এর পরেই রে রে করে আসরে নামে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেন, ‘‘মহিলাদের হাফপ্যান্ট পরাকেই যদি রাহুল ক্ষমতায়ন বলে মনে করেন তাহলে আমি তার বিরোধিতা করতে চাই। উনি সঙ্ঘের রাষ্ট্রীয় সেবিকা সমিতির সদস্য ও সঙ্ঘকর্মীদের মা-বোন-স্ত্রীদের সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করেছেন।’’ গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন পটেলের দাবি, ‘‘সনিয়া গাঁধীই বলুন, তাঁর ছেলের মন্তব্য আদৌ রুচিসম্মত কি না। রাহুল কি প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে হাফপ্যান্ট পরতে বলতে পারবেন?’’ তাঁর দাবি, এই মন্তব্য থেকে মহিলাদের সম্পর্কে কংগ্রেসের মনোভাব বোঝা যাচ্ছে। গুজরাতের আগামী ভোটে এর জবাব দেবেন মানুষ। আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের মতে, ‘‘রাহুল কোনও খবর রাখেন না। আরএসএসের রাষ্ট্রসেবিকা সমিতিতে মহিলারা কাজ করেন।’’
আরও পড়ুন:জয় এড়িয়ে উন্নয়ন-কথা অমিতের
রাজনীতিকদের মতে, গুজরাতে ব্যবসায়ী, পড়ুয়া-সহ সমাজের নানা অংশের মানুষের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলছেন রাহুল। তাতে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। ‘বেটি বচাও বেটি পড়াও’-এর মতো নানা উদ্যোগের মাধ্যমে মহিলাদের সদর্থক বার্তা দিতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী। রাহুলের খোঁচায় তাই তাদের অস্বস্তি আরও বেড়েছে। আবার বিজেপি-আরএসএসের বিরুদ্ধে পোশাক, খাবার নিয়ে ফতোয়া জারির অভিযোগও উঠেছে বার বার। রাহুলের মন্তব্যের সমালোচনা করে বিজেপি বোঝাতে চাইছে, মহিলাদের নিয়ে কংগ্রেসের মানসিকতাও রুচিসম্মত নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy