চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ করেছে পরিবার। ছবি টুইটার।
মায়ের গর্ভে মৃত্যু হয়েছে শিশুর। পরে প্রসবের পর সেই মৃত শিশুটিকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স চেয়েছিলেন এক দম্পতি। কিন্তু তাঁদের হাজারো অনুনয়-বিনয়ে কর্ণপাত করেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাই শেষে বাধ্য হয়ে মৃত শিশুকে বাইকের বাক্সে রেখেই নিয়ে গেলেন দম্পতি। মধ্যপ্রদেশের এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের সিংরাউলিতে। গত ১৭ অক্টোবর প্রসবের জন্য নিকটবর্তী একটা হাসপাতালে স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলেন দীনেশ ভারতী নামে এক ব্যক্তি। দম্পতির অভিযোগ, প্রসবের জন্য ওই হাসপাতালের এক চিকিৎসক তাঁদের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে যেতে বলেন। সেই মতো ক্লিনিকে যান তাঁরা। প্রসবের জন্য সেখানে তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা দিতে হয়।
দীনেশের অভিযোগ, হাসপাতালের কথা বললেও তাঁকে ওই পরিমাণ টাকা দিতে বাধ্য করা হয়। তাঁর দাবি, ‘‘আমি ওদের বলেছিলাম যে, আমার কাছে তিন হাজার টাকা রয়েছে। কিন্তু ওঁরা শোনেননি। ওঁরা বলেন, পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে আসতে।’’ এর পরের দিন ওই ক্লিনিকে যখন দম্পতি যান, তখন আলট্রাসোনোগ্রাফি করানোর কথা বলা হয়। তাতেই দেখা যায় যে, মহিলার গর্ভে মৃত্যু হয়েছে শিশুটির।
কিন্তু এই অবস্থায় মহিলার প্রসব করতে রাজি হননি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। তাঁরা দম্পতিকে ওই হাসপাতালে যেতে বলেন বলে অভিযোগ। পরে হাসপাতালে মহিলার প্রসব করানো হয়। এর পর মৃত শিশুকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স চান দম্পতি। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের অনুরোধ শোনেননি বলে দাবি করেছেন দীনেশ। এর পর বাধ্য হয়ে মৃত শিশুকে বাইকের বাক্সে রেখে জেলাশাসকের অফিসে যান সাহায্যের জন্য। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ করেছেন ওই দম্পতি।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে ওই এলাকায়। এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক রাজীব রঞ্জন মীনা বলেছেন, ‘‘খবরটা শোনা মাত্রই আমরা বিস্তারিত খোঁজ নিয়েছি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও গাফিলতি হয়ে থাকলে পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy