বেঙ্গালুরুতে বাঙালি শ্রমিকদের উচ্ছেদের পরিকল্পনা রুখতে লড়াইয়ে নেমেছে সিপিএম। রাজনৈতিক প্রতিবাদের পাশাপাশি আইনি লড়াইও হচ্ছে। এ রাজ্য থেকে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকদের বিতাড়ন আটকাতে রাজ্য সরকারেরও অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করা উচিত বলে দাবি করল তারা।
মারাটাহাল্লি এলাকায় বস্তি ও ঝুপড়ির প্রায় ১৩ হাজার বাসিন্দাকে উচ্ছেদের পরিকল্পনা নিয়েছেন কর্নাটকের বিধান পরিষদের সদস্য, এক বিজেপি নেতা। বেঙ্গালুরু পুর নিগমও বস্তির বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়েছে। ওই বাসিন্দাদের বড় অংশই এ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ, নদিয়া-সহ কিছু জেলা থেকে কাজের খোঁজে যাওয়া শ্রমিক। উচ্ছেদের প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছে সিটু এবং আরও নানা সংগঠন। সক্রিয় হয়েছেন সিপিএম সাংসদ ও দলের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। উন্নয়ন এবং আবর্জনা সাফাইয়ের যুক্তিতে বস্তি উচ্ছেদের কথা বলছেন বিজেপি পরিচালিত পুর কর্তৃপক্ষ। আদালত অবশ্য মঙ্গলবার জানিয়েছে, আগামী সাত দিন উচ্ছেদ করা যাবে না। আবর্জনা পরিষ্কার ও এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব পুরসভাকেই দিয়েছে আদালত। তবে ভিন্ রাজ্যে কর্মরত শ্রমিকদের সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান চেয়ে দুই রাজ্যের সরকারের হস্তক্ষেপ চাইছে সিপিএম।
সেলিম বুধবার বলেন, ‘‘বাংলা থেকে যাওয়া শ্রমিকেরা ওখানে আছেন, তাঁদের বৈধ কাগজপত্রও আছে। অথচ তাঁদের ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে তাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। বিজেপির এই ঘৃণ্য প্রচার বন্ধ করতে হবে। তৃণমূল কিন্তু এখনও এই নিয়ে কথা বলেনি।’’ কর্নাটকের রাজ্য সিপিএম নেতৃত্ব সে রাজ্যের কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। সেলিম যোগাযোগ করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার সঙ্গে। আদালতের নির্দেশে আপাতত উচ্ছেদ বন্ধ থাকলেও সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য কর্নাটকের সঙ্গে বাংলার সরকারের আলোচনার দাবি তুলেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy