আবাসনের ফ্ল্যাটগুলির সিলিং থেকে পলেস্তরাঁ খসে পড়ছে। ছবি: সংগৃহীত।
চেন্নাইয়ের অভিজাত এলাকায় ১৮ তলের একটি আবাসনের ফ্ল্যাটগুলির সিলিং থেকে চাঙড় খসে পড়ায় আতঙ্কে কাটাচ্ছেন তিনশোরও বেশি পরিবার। যে কোনও মুহূর্তে চাপা পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলেই দাবি আবাসনের বাসিন্দাদের।
আবাসনটি পশ্চিম চেন্নাইের একটি অভিজাত এলাকায়। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে আবাসনটি নির্মাণ করা হয়েছিল। তার পর তিনশোরও বেশি পরিবার ওই আবাসনে বসবাস করা শুরু করেন। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আবাসনের থাম এবং বিমগুলিতে ফাটল ধরা শুরু করে। তার পর যত সময় গিয়েছে, সেই ফাটল আরও চওড়া হয়েছে। পলেস্তরাঁ খসে পড়া শুরু করে। এখন তো ইস্পাতের বিমগুলিও বেরিয়ে এসেছে বলে দাবি বাসিন্দাদের।
জীবনের সঞ্চয় দিয়ে ফ্ল্যাট কেনার পর, এখন আতঙ্কে কাটাতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা। ওই আবাসনেরই এক বাসিন্দা কুমার। তিনি একটি বিমা সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, এক কোটি টাকা দিয়ে তিনি এই আবাসনের একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। কিন্তু এখন শখের কেনা সেই ফ্ল্যাটে থাকতেই ভয় পাচ্ছেন। রান্নাঘর এবং ডাইনিং রুমের সিলিং খসে পড়ছে। যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন কুমার। তাই এখন ঘরের থেকে বাইেটাই অনেক নিরাপদ মনে করছেন তিনি।
কুমারের কথায়, “আমি এবং আমার পরিবার আতঙ্কে আছি। প্রতি দিন সিলিংয়ের কোনও না কোনও অংশ খসে পড়ছে। আতঙ্কে ঘুমোতেই পারছি না।” একই সুর ওই আবাসনের তিনশোরটি পরিবারেরও।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, আবাসনে ছোটখাটো মেরামতির কাজ চলছে। কিন্তু তা শুধু নামমাত্রই। আসল কাজ কিছুই হচ্ছে না বলে দাবি তাঁদের। ফলে বাধ্য হয়েই নিজেদের পকেট থেকে টাকা খরচ করে মেরামতির কাজ করতে হচ্ছে। যদিও নির্মাণ সংস্থা এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। পাল্টা তাদের দাবি, এলাকার জলে ক্লোরাইডের মাত্রা অত্যধিক হওয়ায় এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। তবে আবাসনের বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, পুরো বিষয়টি দ্রুত মিটিয়ে ফেলা হবে। চেন্নাই পুরনিগম থেকেও আবাসনের পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই রিপোর্টে কী আসে এখন তার অপেক্ষায় বাসিন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy