বেজিংয়ের যে প্রকল্পটি ঘিরে মাসখানেক ধরে চিন-ভারত অস্বস্তি বাড়ছিল, তারই পর্দা উঠতে চলেছে আগামিকাল। রবিবার চিনে শুরু হচ্ছে মেগা প্রকল্প ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড (ওবিওআর)’-এর প্রথম সম্মেলনে। গোড়া থেকেই যাতে যোগ দিতে রাজি ছিল না ভারত। আজ সম্মেলনের আগের দিনেও ভারত এতে যোগ দেবে কিনা তা স্পষ্ট করেনি সাউথ ব্লক।
এই প্রকল্পের অন্তর্গত চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডর পাক অধিকৃত কাশ্মীর দিয়ে যাবে। চিনের সহায়তায় পাকিস্তানে গ্বাদর বন্দরটি যে ভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে, তা নিয়েও ভারত উদ্বিগ্ন। সে কারণে প্রথম থেকেই এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে এসেছে নয়াদিল্লি। কিন্তু ‘ওবিওআর’ সম্মেলনে ভারত না গেলেও চিনে এই সম্মেলনে যোগ দেওয়া দেশের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। শেষ মুহূর্তে যেতে রাজি হয়েছে আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো শক্তিধর দেশ। চিন এতগুলি দেশকে সম্মেলনে যোগ দিতে রাজি করানোয়, তাতেও যথেষ্ট চাপে পড়েছে ভারত।
বিতর্কিত পূর্ব চিন সাগর নিয়ে বেজিং-টোকিও দ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও শেষ বেলায় উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে জাপানও। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও যোগ দেবেন চিনের এই সম্মেলনে। গিয়েছেন নেপালের প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও মলদ্বীপ থেকেও রওনা হয়েছেন প্রতিনিধিরা। কূটনৈতিক বা রাজনৈতিক ভাবে ভারতের সেখানে না থাকার সুযোগে মাঠে নেমেছে পাকিস্তান। ৪ মুখ্যমন্ত্রী ও ৫ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী— সব চেয়ে বড় প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে তারাই। পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রকল্পে ৪ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার লগ্নি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চিন। স্বাভাবিক ভাবেই কূটনৈতিক স্বার্থের কথাও ভাবছে পাকিস্তান। তবু কাল রাতেও ভারত বলেছে, শেষ মুহূর্তে বেজিংয়ে ভারতীয় দূতাবাসের কোনও জুনিয়র অফিসার যেতে পারেন। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই জানিয়েছেন, ভারত থেকে বড় মাপের কেউ না এলেও সম্মেলনে তাদের কোনও না কোনও প্রতিনিধি থাকবেনই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy