Advertisement
১৯ মে ২০২৪

অসমে ঢাকার প্রতিনিধি

ভারত ও বাংলাদেশের স্বাক্ষরিত জমি-চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে অসমে পরিদর্শনে এলেন পড়শি দেশের ভূমি বিভাগের মহানির্দেশক আব্দুল জলিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
করিমগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৫ ০৩:২৯
Share: Save:

ভারত ও বাংলাদেশের স্বাক্ষরিত জমি-চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে অসমে পরিদর্শনে এলেন পড়শি দেশের ভূমি বিভাগের মহানির্দেশক আব্দুল জলিল। তিনি জানান, চুক্তি অনুযায়ী এ রাজ্যের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার চিহ্নিত জমিগুলি বাংলাদেশকে হস্তান্তর নিয়ে ৩১ জুলাই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।

করিমগঞ্জ জেলার লাঠিটিলা-ডুমাবাড়ি, মদনপুর এলাকার যে জায়গাগুলি বাংলাদেশকে হস্তান্তর করা হবে, সে সব জায়গাগুলি ঘুরে দেখেন আব্দুল জলিল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের ভূমি বিভাগের আরও এক প্রতিনিধি, ‘ডিরেক্টর অব সার্ভে’ আনোয়ার হুসেন, সীমান্ত বিভাগের আধিকারিক সুরাইয়া জাহান, আব্দুল হক এবং ফিরদৌস হুসেন।

আজ সকালে সুতারকান্দির ‘জিরো পয়েন্ট’-এ অসমের ভূমি এবং রাজস্ব বিভাগের নির্দেশক দীপককুমার শর্মা, পলাশ বরুয়া, কিতুবন কোঁয়র, এ এস খারঙ্গর, গৌতম শইকিয়া, করিমঞ্জের জেলাশাসক সঞ্জীব গোঁহাই বরুয়া তাঁদের স্বাগত জানান। বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল প্রথমে সুতারকান্দির কেন্দ্রীয় শুল্ক বিভাগের দফতরে ভারতীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখান থেকে তাঁরা নিলামবাজার রাজস্ব চক্রের মদনপুর এবং পাথারকান্দি রাজস্ব চক্রের লাঠিটিলা-ডুমাবাড়ির জমি পরিদর্শন করেন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা করিমগঞ্জের জমি পরিদর্শন করে দেশে ফেরার পর অসমের সরকারি কর্তারা বাংলাদেশে যাবেন। তাঁরাও প্রতিবেশী রাষ্ট্রে দাঁড়িয়ে অসমের সে সব জায়গা দেখবেন। বাংলাদেশের ভূমি বিভাগের মহানির্দেশক জানান, আগামী ১৫ ও ২৩ জুলাই দু’দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হবে। ৩১ জুলাই আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। তার পরই ভারত-বাংলাদেশের মাধ্যে জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হবে।

উল্লেখ্য, জমি-চুক্তির জেরে অসমের করিমগঞ্জ ও ধুবুরি জেলার বরইবাড়ি এলাকার কিছুটা জমি বাংলাদেশের হাতে যাবে। অসমের বাসিন্দারা তার বিরুদ্ধে সরব হলেও সরকারি তরফে সে দিকে নজর দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। করিমগঞ্জ জেলার লাঠিটিলা-ডুমাবাড়ি এলাকার কুড়িটির বেশি পরিবার জমি হারাবেন। লাঠিটিলা-ডুমাবাড়ির যে জায়গাটি বাংলাদেশকে হস্তান্তর করা হবে, সেখানকার জমির মালিকরা এখন পাথারকান্দির পুতনি বাগানে বসবাস করেন। ২০০২ সাল পর্যন্ত পাথারকান্দি রাজস্ব চক্রে ওই জমির জন্য খাজনাও দিয়েছেন।

তাঁদের অভিযোগ, কারও সঙ্গে কোনও আলোচনা বা ক্ষতিপূরণ না দিয়েই জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE