ধর্না প্রত্যাহারের পর নিজের বাড়িতে কেজরীবালকে স্বাগত জানাচ্ছেন আপের নেতারা। —পিটিআই
আট দিন পর অবশেষে অচলাবস্থা কাটল দিল্লিতে। ধর্না প্রত্যাহার করে উপরাজ্যপাল অনিল বৈজলের বাড়ি ছাড়লেন কেজরীবালরা। মঙ্গলবার প্রথমে আইএএস অফিসারদের দিল্লির মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে আর্জি জানান রাজ্যপাল। তারপর কেজরীবালকেও সচিবালয়ে গিয়ে আইএএসদের সঙ্গে বৈঠকের আর্জি জানান। তার পরই ধর্না প্রত্যাহার করেন কেজরীবাল-সহ দিল্লির মন্ত্রীরা। ইতিমধ্যেই কয়েকটি বৈঠক হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। তবে মঙ্গলবার ফের প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন কেজরীবাল। যদিও রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, সম্মানজনক রফাসূত্রের সুযোগ পেতেই ধর্না আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন আপ সুপ্রিমো।
ধর্না প্রত্যাহার করে রাজ নিবাস ছাড়ার পরই কেজরীবাল দলের সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আইএএস অফিসারদের বিরুদ্ধে আমাদের কোনও ক্ষোভ নেই। ৯৯ শতাংশ অফিসারই ভাল। তাঁদের সঙ্গে মিলেমিশেই দিল্লিতে কাজ করব। আইএএস অফিসারদের সামনে রেখে কেন্দ্র এবং উপরাজ্যপালই কলকাঠি নেড়েছেন। পরে সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া বলেন, ‘‘আমলারা মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করতে রাজি হয়েছেন। আশা করি বুধবারও তাঁরা সেই কাজ করবেন।’’
এ দিন রাজ নিবাসের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, দিল্লিবাসীর স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল সচিবালয়ে গিয়ে আইএএসদের সঙ্গে বৈঠক করুন। আপ সূত্রের খবর, টানা আট দিন ধর্না চালানোর পর কেজরীবালও সম্মানজনক রফার পথ খুঁজছিলেন। তাই এ দিন উপরাজ্যপালের বিবৃতির পর আর ধর্না তুলতে দেরি করেননি। ধর্না প্রত্যাহারের পর এ দিনই পরিবহণমন্ত্রী কৈলাস গেহলট, পরিবেশমন্ত্রী ইমরান হুসেন ও সমাজ কল্যাণমন্ত্রী রাজেন্দ্র পাল গৌতমের বৈঠকে যোগ দেন আমলারা।
আরও পড়ুন: মেহবুবার পাশে নেই কংগ্রেস-এনসি, রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকেই জম্মু-কাশ্মীর
সোমবারই কেজরীবাল আমলাদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেন। যদিও আইএএস অফিসারদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সরকারি ভাবে জানানোর অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। এ দিন উপরাজ্যপালের বার্তার পরই অচলাবস্থা কেটে যায়।
নিরাপত্তার অভাবের অভিযোগ তুলে প্রায় চার মাস ধরে মন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিচ্ছিলেন না আমলারা। এর প্রতিবাদেই আইএএস-রা ‘ধর্মঘট’ করছেন বলে দাবি করে গত সপ্তাহের সোমবার থেকে উপরাজ্যপালের বাসভবন রাজ নিবাসে ধর্নায় বসেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আরও তিন মন্ত্রী। কংগ্রেস ছাড়া বাকি বিরোধী দলগুলি কেজরীবালের ধর্নায় সমর্থন করেন। ধর্নার জেরে দিল্লির প্রশাসনিক কাজকর্ম কার্যত লাটে উঠেছিল। বিভিন্ন সরকারি পরিষেবাতেও তার প্রভাব পড়ছিল। অবশেষে ধর্না প্রত্যাহার করায় সেই সমস্যার সমাধান হল। হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন দিল্লিবাসী।
আরও খবর: মুসলিম কর্মীর পরিষেবা নিতে অস্বীকার গ্রাহকের, মেনে নিয়ে নিন্দার ঝড়ে এয়ারটেল
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy