গুজরাতের সংস্থার করা মামলায় বিবিসিকে তলব দিল্লি হাই কোর্টের। ফাইল চিত্র।
আবারও আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়ল বিবিসির বিতর্কিত দুই পর্বের সেই তথ্যচিত্র। গুজরাতের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ব্রিটেনের সম্প্রচারক সংস্থাটির বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছিল। সেই মামলাতেই বিবিসি কর্তৃপক্ষকে তলব করল উচ্চ আদালত। তথ্যচিত্রটির বিষয়ে বিবিসির ব্যাখ্যাও চেয়েছে আদালত। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে মামলাটির পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা।
গুজরাতের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী হরিশ সালভে। আদালতে তাঁর বক্তব্য, ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই তথ্যচিত্রটিতে। এর ফলে দেশের বিচারবিভাগ এবং প্রধানমন্ত্রীরও ভাবমূর্তি খারাপ হয়েছে। এর পরেই হাই কোর্টের বিচারপতি শচীন দত্ত বলেন, “অভিযোগের প্রেক্ষিতে জবাব দিতে হবে অভিযুক্ত সংস্থাকে।”
এর আগে একটি নিম্ন আদালতও এই সংক্রান্ত মামলায় বিবিসি কর্তৃপক্ষকে তলব করেছিল। সে বার মামলাটি করেছিলেন বিজেপি নেতা বিনয় কুমার সিংহ। আদালতের কাছে তিনি এই ধরনের তথ্যচিত্র প্রদর্শনীতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার আর্জি জানিয়েছিলেন।
২০০২ সালে নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় সে রাজ্যে সংখ্যালঘুদের কেমন অবস্থা ছিল, তা নিয়ে দুই পর্বে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছিল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। কিন্তু ‘ইন্ডিয়া: দি মোদী কোয়েশ্চেন’ শীর্ষক তথ্যচিত্রটি বিশেষ তথ্যপ্রযুক্তি আইন প্রয়োগ করে ইউটিউব-সহ যাবতীয় সমাজমাধ্যম থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তার পরই কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। ওই মামলায় কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট তলব করে দেশের শীর্ষ আদালত। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে মন্ত্রীরা কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও বিজেপির একাধিক নেতা বিবিসির তীব্র সমালোচনা করে জানান, দেশকে খাটো করার জন্যই মিথ্যা এবং বিকৃত তথ্য পরিবেশন করছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি। সরকারের তরফেও জানানো হয়, বিবিসির ওই তথ্যচিত্র দেশের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার আদর্শকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy