ব্লুলাইন বাসের চালকদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার মামলায় আদালতের কড়া সমালোচনার মুখে পড়ল দিল্লি পুলিশ। দিল্লি হাইকোর্টের মতে, এই তদন্ত আদৌ নিয়ম মেনে ও সময় মতো করেনি পুলিশ।
২০০৮ সালে কয়েক জন ব্লুলাইন বাস অপারেটরের সাহায্যে একটি স্টিং অপারেশন করেন মামলার আবেদনকারী ও নির্মাণ ব্যবসায়ী চেতন শর্মা। অভিযোগ, সেই অপারেশনের ভিডিও-তে দিল্লি পুলিশের ৯০ জন ট্রাফিক কনস্টেবলকে ঘুষ নিতে দেখা গিয়েছে। পরে পুরসভার কয়েক জন আধিকারিকের ঘুষ নেওয়ার ছবিও তিনি ক্যামেরাবন্দি করেছেন বলে দাবি চেতনের। ব্লুলাইন বাস পরে বন্ধ করে দেয় দিল্লি সরকার। ২০১৫ সালে দিল্লির ডাবরি এলাকায় বাড়ির
সামনে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের হামলায় আহত হন চেতন। হাইকোর্টের নির্দেশে ওই ঘটনার আগেই তাঁর ব্যক্তিগত দেহরক্ষী মোতায়েন করা হয়। কিন্তু সকালে হাঁটার সময়ে চেতনের দেহরক্ষী সঙ্গে ছিলেন না। চেতনের স্ত্রী সবিতা তখন দাবি করেন, একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের দুর্নীতি ফাঁস করেছেন চেতন। ওই হামলা সেই দলের সদস্যদেরই কাজ বলে তাঁদের সন্দেহ।
সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্টে এক আর্জিতে চেতন জানান, ব্লুলাইন বাস থেকে ঘুষ নেওয়ার মামলায় কোনও অগ্রগতি। আজ শুনানিতে বেঞ্চ কড়া সমালোচনা করে পুলিশের। অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তল ও বিচারপতি সি হরি শঙ্করের বেঞ্চ নিয়েছে, ২০০৮ সালে খসড়া চার্জশিট তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তার পরে চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি হয়নি।
বেঞ্চের প্রশ্ন, এত দিন পুলিশ কী করছিল?
স্টিং অপারেশনের ভিডিও নিয়ে ফরেন্সিক রিপোর্টও আসেনি। বেঞ্চের মতে, ফরেন্সিক দফতরে পরিকাঠামোর অভাব আছে। তা নিয়ে দিল্লি সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারকে সক্রিয় হতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy