ফাইল ছবি
তালিবান কাবুলের দখল নেওয়ার পর দশ মাস অতিক্রান্ত। অভাবে, ক্ষুধায় জর্জরিত আফগানবাসী। রাজস্বে টান। বেশ কিছু ভাগে বিভক্ত তালিবান। পশ্চিম বিশ্বের স্বীকৃতি নেই, অনুদানের প্রশ্নই উঠছে না। মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য সিরাজুদ্দিন হক্কানি পরিবার আমেরিকার সন্ত্রাসবাদী তালিকায় থাকার কারণে অদূর ভবিষ্যতেও আমেরিকার কাছ থেকে সাহায্যের প্রশ্নই উঠেছে না। পাকিস্তানের সঙ্গেও টানাপড়েন চলছে তালিবানের একটি বড় অংশের।
এই পরিস্থিতিকেই আফগানিস্তানের মাটিতে ফেরার আদর্শ সময় বলে মনে করছে নয়াদিল্লি। ইতিমধ্যেই ভূমিকম্পকে সামনে রেখে সে দেশে বন্ধ দূতাবাসের তালা খোলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও শীর্ষ পর্যায়ের কূটনীতিক সে দেশে যাননি ঠিকই। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত আফগানবাসীদের ত্রাণ পৌঁছনোর জন্যই কিছু কর্মীকে পাঠানো হয়েছে। সপ্তম দফায় ৬ টন ওষুধ ও মেডিক্যাল সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। তবে জল মাপার পর অদূর ভবিষ্যতে, আফগানিস্তানে ভারতের চলতি প্রকল্পগুলির ধুলো ঝেড়ে আবার সেখানে কূটনৈতিক উপস্থিতি বাড়ানোর চেষ্টা শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। হক্কানিদের সঙ্গে নয়াদিল্লির নিরাপত্তা কর্তারা যোগাযোগ রাখছেন বলেই জানা গিয়েছে।
এ ক্ষেত্রে ভারতের প্রধান নজর পাকিস্তানের দিকে। নয়াদিল্লি মনে করছে, আজ থেকে এক বছর আগে হলেও ইসলামাবাদ যে ভাবে জানপ্রাণ দিয়ে কাবুল থেকে ভারতীয় কর্মীদের উৎখাতের জন্য লড়ে যেত, এখন তার ঝাঁঝ অনেকটাই কম থাকবে। কারণ, পাকিস্তান ঋণে ডুবে রয়েছে। তার শ্রীলঙ্কার মতো দশা হতে পারে বলে মনে করছেন দক্ষিণ এশিয়ার বিশেষজ্ঞরা। প্রবল চেষ্টা চলছে আমেরিকার কাছ থেকে অনুদান পাওয়ার। এই ভগ্ন দশায়, একটা পর্যায়ের পর আফগানিস্তানের মাটিতে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া ইসলামাবাদের পক্ষে সম্ভব হবে না বলেই মনে করছে বিদেশ মন্ত্রক। আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের ধারাবাহিক অভিযোগ ছিল, ভারত আফগানিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে। কিন্তু ভারতের সম্পূর্ণ অনুপস্থিতিতে যে ভাবে পাকিস্তানের বালোচ অঞ্চলে সন্ত্রাস বেড়েছে, তাতে পুরনো অভিযোগও আর টিকছে না বলেই দিল্লির মত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy