রাজধানী দিল্লি পেতে চলেছে আপের প্রথম মেয়র। — ফাইল ছবি।
পর পর তিন বার ভন্ডুল হওয়ার পর আবার দিল্লির মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বুধবার। সুপ্রিম কোর্টে জয়ের পর অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ) আত্মবিশ্বাসী তাঁদের প্রার্থীকে মেয়র করতে অসুবিধা হবে না। অন্য দিকে, শেষ মুহূর্তে চমক দেওয়ার পরিকল্পনায় গেরুয়া শিবির। বিজেপির দাবি, দিল্লিতে ‘খেলা হবে’!
গত বছর ডিসেম্বরে হয়েছিল দিল্লি পুরসভার ভোট। তার পর থেকে তিন-তিন বার মেয়র নির্বাচনের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু প্রতি বারই হাঙ্গামার জেরে বন্ধ করে দিতে হয় মেয়র বাছাই। বুধবার সেই মেয়র নির্বাচনই হতে চলেছে। সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়ে জানিয়েছে, মনোনীত সদস্যদের মেয়র নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোটাধিকার থাকবে না। ফলে মেয়র বাছাই হবে কেবলমাত্র পুর নির্বাচনে জয়ীদের ভোটের উপর ভিত্তি করেই। এতে সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে আপ। তাঁদের মনোনীত মেয়র প্রার্থী শেলি ওবেরয়ের জয় কার্যত নিশ্চিত।
ঘটনা হল, শেলিই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁর আবেদন ছিল, দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা, যে মনোনীত ১০ সদস্যের ভোটাধিকার রয়েছে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা খারিজের। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধানী বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, মনোনীত সদস্যেরা মেয়র নির্বাচনের ভোটে অংশ নিতে পারবেন না। এর ফলে আপের মেয়র প্রার্থীই যে জিততে চলেছেন তা এক প্রকার নিশ্চিত। এ দিকে বিজেপি শিবির থেকে চমকের ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে। কী সেই চমক, তা এখনও অস্পষ্ট, যদিও শুধুমাত্র অঙ্কের বিচারে বিজেপির কোনও সম্ভবনাই নেই। তাই শেষ অঙ্কের ‘খেলা’র দিকে তাকিয়ে রাজধানীর গেরুয়া শিবির।
ঠিকঠাক মেয়র নির্বাচন হয়ে গেলে ডেপুটি মেয়র এবং স্ট্যান্ডিং কমিটির ছয় সদস্যকেও বেছে নেওয়া হবে। স্ট্যান্ডিং কমিটির ছয় আসনের মধ্যে আপের দখলে থাকবে তিনটি আসন, বিজেপির দখলে থাকবে দু’টি। একটি আসন কার দিকে যাবে তা নিয়ে লড়াই হবে। মনোনীত সদস্যেরা ভোট দিতে না পারলে বিজেপির ভোট হবে ১১৩টি। অন্য দিকে ২৭৪ সদস্যের এমসিডিতে আপের একার রয়েছে ১৫০টি ভোট। সংখ্যা গরিষ্ঠতা ১৩৮।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy