প্রতীকী ছবি।
মাত্র ১০০ টাকার অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ওষুধ শিশিতে ভরে লাখ টাকায় ক্যানসারের ওষুধ বলে বিক্রি করার অভিযোগ উঠছিল। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে জাল ওষুধ কারবারের চক্র ফাঁস করল দিল্লি পুলিশ। এই ঘটনায় সাত জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জন আবার স্বাস্থ্যকর্মী।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশ রোহিনী এলাকায় অভিযান চালায়। সেই অভিযানের সময় দু’টি ফ্ল্যাটে হানা দেয় তারা। পুলিশের দাবি, সেই ফ্ল্যাটগুলিতেই চলছিল জাল ওষুধের কারবার। ভিফিল জৈন নামে এক ব্যক্তিই এই চক্রের ‘মূল চক্রী’। তিনিই গত দু’বছর ধরে এই জাল ওষুধের কারবার চালিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ।
কী ভাবে কাজ করত এই চক্র? পুলিশ সূত্রে খবর, ক্যানসারের ওষুধের নামেই জাল কারবার চালানো হত। ক্যানসারের ওষুধ বলে যা বিক্রি করা হত, তার সঙ্গে মারণরোগের চিকিৎসার কোনও সম্পর্ক নেই। সেই ওষুধের শিশিতে ভরা থাকত অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ওষুধ। যা ছত্রাক সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। সেই ওষুধের দাম ভারতীয় বাজারে মাত্র ১০০ টাকা। কিন্তু ক্যানসারের ওষুধ বলে সেই ১০০ টাকার ওষুধই এক থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি করা হত। শুধু ভারতে নয়, এই জাল ওষুধ বিক্রি হত আমেরিকা এবং চিনেও।
পুলিশ সূত্রে আরও খবর, গত দু’বছর ধরে দিল্লি, নয়ডা এবং গুরুগ্রাম থেকে চলত এই চক্রের কারবার। মঙ্গলবার পুলিশ দিল্লিতে অভিযান চালিয়ে ভারতের এবং সাতটি আন্তর্জাতিক ওষুধ কোম্পানির অনেক শিশি উদ্ধার করেছে। এ ছাড়াও ধৃতদের থেকে নগদ চার কোটি টাকাও পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রের সন্ধানে নেমে প্রথমে মোতিনগর থেকে ভিফিলকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে জেরা করেই গোটা ঘটনার কথা জানতে পারে পুলিশ। তদন্তকারী অফিসারেরা ভিফিলের থেকে জানতে পারেন সূরজ শাহ নামে এক ব্যক্তির কথা। তাঁরা দু’জনেই বিদেশে জাল ওষুধ পাচার করতেন। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত সাত হাজারের বেশি ওষুধের শিশি বিক্রি হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy