সন্তানধারণের জন্য প্রতিবেশীর ৩ বছরের সন্তানকে খুন করার অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তান্ত্রিকের পরামর্শে খুন করে শিশুটির দেহ প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে তিনি ফেলে রেখেছিলেন একটি বহুতলের ছাদে। উত্তর-পশ্চিম দিল্লির রোহিণী এলাকার এই ঘটনার কথা রবিবার জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেরায় তিনি জানিয়েছেন, সন্তান ধারণ করতে না পারায় কটূ কথা শুনতে হত তাঁকে। শ্বশুরবাড়ি এবং আত্মীয়রাও প্রবল চাপ দিতেন। সে জন্যই এক তান্ত্রিকের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। ওই তান্ত্রিক ‘ভগবানকে সন্তুষ্ট করতে শিশুর বলিদানের কথা’ পরামর্শ দিয়েছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছেন অভিযুক্ত।
অভিযুক্ত ওই মহিলার নাম নীলম গুপ্ত (২৫)। ২০১৩ সালে বিয়ে হয় তাঁর। বিয়ের ৭ বছর পরেও সন্তান না হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শও নিয়েছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি। তাই বছরখানেক আগে উত্তরপ্রদেশে হরদইয়ে এক তান্ত্রিকের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই তান্ত্রিকই এই কাজের পরামর্শ দেয় তাঁকে।
গোটা ঘটনা সামনে আসে গত শনিবার। ৩ বছরের ওই বাচ্চাটির খোঁজ না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন তার বাবা-মা। অভিযোগ দায়ের হতেই বাচ্চাটির খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। তল্লাশির সময়ই পাশের বাড়ির ছাদে একটি ব্যাগ লক্ষ্য করেন। সেই ব্যাগ দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। তা খুলতেই বেরিয়ে আসে বাচ্চাটির দেহ। তার ঘাড়ে-গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছিল বাচ্চাটিকে। এর পরই বাচ্চাটিকে শেষ কার সঙ্গে কোথায় দেখা গিয়েছিল, তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। নীলমকে প্রশ্ন করতেই তিনি প্রথমে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। পুলিশের দাবি, পরে তিনি খুনের কথা স্বীকার করেন।
ঘটনা নিয়ে পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (রোহিণী) প্রণব তয়াল বলেছেন, ‘‘সন্তানধারণ করতে না পারায় চাপে ছিল বলে জানিয়েছেন ওই মহিলা। তাই ভগবানকে খুশি করতে তান্ত্রিকের কথা মতো প্রতিবেশীর ছেলেকে শনিবার খুন করেন তিনি। ছেলেটি যখন একা খেলছিল, তখনই এই কাজ করেন তিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy