ফাইল চিত্র।
চণ্ডীগড় ধর্ষণ-কাণ্ডে নয়া মোড়। ডিএনএ রিপোর্ট প্রশ্ন তুলে দিল, দশ বছরের ধর্ষিতা কিশোরীর সন্তানের পিতা আদৌ ওই ধৃত ব্যক্তি কি না। কিন্তু সে না হলে, ওই সদ্যোজাতের বাবা কে? তবে কি আরও কেউ ধর্ষণ করেছিল নাবালিকাকে? প্রশ্ন উঠছে অনেক।
গত জুলাই মাসে দশ বছরের মেয়ের গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মা। খবরটা জানাজানি হয়েছিল তখনই, নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছে তার কাকা। ৩০ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বাকে গর্ভপাতের অনুমতি দেয়নি আদালতের নির্দেশে তৈরি মেডিক্যাল বোর্ড। গত ১৭ অগস্ট একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় ওই কিশোরী। এর পরই আজ চণ্ডীগড়ের ‘সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি’-র (সিএফএসএল) রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ডিএনএ পরীক্ষায় সদ্যোজাতের সঙ্গে ধৃতের ডিএনএ মেলেনি। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩(২)বি ধারা অনুযায়ী ভ্রূণের বয়স ২০ সপ্তাহ হয়ে গেলে আর গর্ভপাত করানো যায় না। ধর্ষিতার বয়ান ও পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছিল, প্রাথমিক ভাবে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতাল গিয়েছিলেন মহিলা। কিন্তু গর্ভপাত করাতে রাজি হয়নি কোনও হাসপাতাল। এর পরই পুলিশের সাহায্য চান তিনি। গত ১৪ জুলাই এআইআর দায়ের করা হয়। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। গর্ভপাতের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করে নাবালিকার পরিবার।
ধর্ষিতা বয়ানে জানা গিয়েছিল, কিশোরীকে বারবার ধর্ষণ করা হয়েছিল। মেয়েটির বাবা নিচুতলার সরকারি কর্মী। মা লোকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। একটি হোটেলে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করত অভিযুক্ত কাকা। সাধারণত রাতের ডিউটি করত সে। বাড়ি ফাঁকা পেয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। আদালতে দাঁড়িয়ে, কাকাকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিতও করে দশ বছরের মেয়েটি।
সম্প্রতি কিশোরীর পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য চণ্ডীগড় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। চণ্ডীগড় কোর্টও দ্রুত শুনানির নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে সিএফএসএল-এর রিপোর্টে দানা বাঁধল ধন্দ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy