কনস্টেবল এবং চালকের চাকরি করার জন্য জমা পড়েছে বহু ‘উচ্চশিক্ষিতের’ আবেদন। ফাইল ছবি।
পুলিশের কনস্টেবল এবং চালকের চাকরি করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার এমনকি উকিলও। মহারাষ্ট্র সরকার সম্প্রতি পুলিশের চাকরিতে কনস্টেবল এবং গাড়ির চালক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। সেখানেই জমা পড়েছে বহু ‘উচ্চশিক্ষিতের’ আবেদন। চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে কেউ ডাক্তারি পাশ, কেউ যোগ্যতাসম্পন্ন ইঞ্জিনিয়ার কেউ আবার ডিগ্রিধারী উকিল।
পুণে পুলিশে কনস্টেবল এবং চালক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল মহারাষ্ট্র সরকার। তাতে আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসাবে দরকার ছিল দ্বাদশ শ্রেণি পাশ। কনস্টেবলের ৭২০টি পদে এবং চালকের মোট ৭২টি পদে নিয়োগ করা হবে। তাতে মোট ৭৩ হাজার ২৪২টি আবেদন জমা পড়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছে, ৩ হাজার ২৩৮ জন আবেদনকারীর যোগ্যতা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি।
কনস্টেবল এবং চালকের পদে চাকরির জন্য আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন হোমিওপ্যাথি এবং আয়ুর্বেদের ডিগ্রিধারী, আইনে স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর পাশ, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন এবং কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পাশ চাকরিপ্রার্থীরা। অনেকে মনে করছেন, দেশে বেকারত্বের ছবিটা মহারাষ্ট্র সরকারের চাকরিতে এই আবেদনের তালিকায় স্পষ্ট। উকিল, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হয়েও চাকরি জোটাতে পারেননি আবেদনকারীরা। সেই কারণেই বাধ্য হয়ে দ্বাদশ পাশ কনস্টেবল এবং গাড়ির চালকের পদে তাঁরা আবেদন জানিয়েছেন।
তবে মহারাষ্ট্র পুলিশের প্রবীণ কর্তারা মনে করছেন, পুলিশ বিভাগে কাজ করতে আগ্রহী এই চাকরিপ্রার্থীরা। অবসরপ্রাপ্ত এক কর্তা বলেন, ‘‘খাকি উর্দির প্রতি আকর্ষণের কারণেই উচ্চশিক্ষিত তরুণ, তরুণীরা মহারাষ্ট্র পুলিশে যোগ দিতে চাইছেন। পুলিশের চাকরি অন্য অনেক চাকরির চেয়ে বেশি সম্মানের। স্থায়ী ভাবে পুণেতেই চাকরি করতে পারবেন তাঁরা।’’
৩ জানুয়ারি থেকে চালকের পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী ১৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে কনস্টেবল নিয়োগের প্রক্রিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy