Advertisement
১৮ মে ২০২৪

ডোকলাম নিয়ে যুদ্ধ হতে পারত, দাবি চিনা পত্রিকার

দিল্লির ধারণা, এই দেশগুলির কেবল ভারতের সঙ্গেই সম্পর্ক বাড়ানো উচিত। অন্য কোনও দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার সুযোগ এলেও তা এড়িয়ে চলতে হবে।

সংবাদ সংস্থা
বেজিং ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৪৯
Share: Save:

ডোকলাম বিবাদের ফলে ভারত-চিন যুদ্ধের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছিল বলে জানাল বেজিং। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির নিয়ন্ত্রণাধীন ‘গ্লোবাল টাইমস’-এর মতে, ভারতের শাসকেরা চিন নিয়ে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। বেজিং কোনওভাবেই দক্ষিণ এশিয়ায় দিল্লির সঙ্গে কূটনৈতিক দ্বন্দ্বে জড়াতে চায় না।

দু’টি নিবন্ধে ভারতের দক্ষিণ এশিয়া নীতিকে আক্রমণ করেছে ‘গ্লোবাল টাইমস’। তাদের দাবি, ডোকলামের ফলে ভারত-চিন যুদ্ধ শুরু হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। সীমান্ত বিবাদের মতো সমস্যাগুলি মেটার কোনও আশু সম্ভাবনা নেই। ফলে দু’দেশকেই চেষ্টা করতে হবে যাতে ওই সমস্যাগুলির জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নষ্ট না হয়। পত্রিকাটির মতে, ভারতের শাসকেরা সব সময়েই ভাবেন চিন তাঁদের চার দিক থেকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছে। তাই বেজিংয়ে চিন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রীদের সাম্প্রতিক বৈঠক নিয়েও উদ্বেগে রয়েছে দিল্লি। ওই বৈঠকের পরে বেজিং ও ইসলামাবাদ জানায় তারা চিন-পাকিস্তান আর্থিক করিডরকে আফগানিস্তান পর্যন্ত নিয়ে যেতে আগ্রহী। ‘গ্লোবাল টাইমস’ জানিয়েছে, এরপরেই বেজিংকে তোপ দেগেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের একাংশ। তাদের দাবি, আফগানিস্তানকে ওই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করে ভারতের চারপাশে তাদের প্রভাব আরও বাড়াতে চাইছে চিন। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক দ্বন্দ্বে নামা চিনা স্বার্থের অনুকূল নয়। ওই বৈঠকের পরে চিন ও পাকিস্তান যৌথ বিবৃতিতে জানায়, কোনও জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য ওই দু’দেশের ভূমি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। কিন্তু দিল্লি তাতেও তুষ্ট নয়।

চিনা পত্রিকাটির মতে, ভারত তার ছোট প্রতিবেশী দেশগুলিকে ‘রক্ষিতা’ বলে মনে করে। দিল্লির ধারণা, এই দেশগুলির কেবল ভারতের সঙ্গেই সম্পর্ক বাড়ানো উচিত। অন্য কোনও দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার সুযোগ এলেও তা এড়িয়ে চলতে হবে।

সাউথ ব্লকের কর্তারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, চিনের আগ্রাসী নীতি নিয়ে গোটা বিশ্বই উদ্বিগ্ন। সন্ত্রাস সম্পর্কেও দ্বিমুখী নীতি নিয়ে চলছে বেজিং। তাদের বাধাতেই রাষ্ট্রপুঞ্জে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা যাচ্ছে না। কিন্তু আফগানিস্তানে আল কায়দা ফের মাথা চাড়া দেওয়ার পরে আফগান-চিনা সীমান্তে কড়াকড়ি বাড়িয়েছে বেজিং। আর আফগানিস্তানে জঙ্গিদের ফের বাড়বাড়ন্তের জন্য বার বার ইসলামাবাদের দিকে আঙুল তুলেছে কাবুল। বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, ‘‘এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে কোন দেশ সন্ত্রাসে মদত দেয় আর কোন দেশ তাদের সমর্থন করে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Doklam India China Chinese daily
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE