প্রতীকী ছবি।
নাবালিকা পরিচারিকাকে ঘরে আটকে রেখে বিবস্ত্র করিয়ে মারধরের পর ছবি তোলার অভিযোগ উঠল হরিয়ানার গুরুগ্রামের এক পরিবারের বিরুদ্ধে। শুধু মারধরই নয়, পোষ্য কুকুর ছেড়ে দেওয়া হয় তার উপর। টেপ দিয়ে মুখ আটকেও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গুরুগ্রামের সেক্টর ৫৭-তে এই ঘটনাটি ঘটেছে। কিশোরীর মায়ের অভিযোগ, তাঁর কন্যা যে বাড়িতে কাজ করত, সেই বাড়ির সদস্যরা তাকে লোহার রড, কখনও হাতুড়ি দিয়ে মারধর করত। দম্পতির দুই পুত্র তাঁর কন্যাকে বিবস্ত্র করে ছবিও তুলেছে। তাঁর আরও অভিযোগ, কন্যাকে একটি ঘরে আটকে রাখা হত। সে যাতে চিৎকার করে পড়শিদের জানাতে না পারে, তার জন্য মুখে টেপ আটকে দিতেন গৃহকর্তা।
পুলিশ জানতে পেরেছে, দু’দিনে এক বার খাবার জুটত ওই নাবালিকার। অত্যাচারের সীমা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, নাবালিকার হাতে অ্যাসিডও ঢেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কয়েক জনের সহযোগিতায় শনিবার নাবালিকাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন তার মা। অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত গৃহকর্তার নাম শশী শর্মা। মাসিক ৯ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই বাড়িতে কাজ করত এবং সেখানেই থাকত নাবালিকা। তাঁর মায়ের অভিযোগ, প্রথম দু’মাস টাকা পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার পর থেকে ঠিকমতো টাকা দিতেন না গৃহকর্তা। তাঁর আরও অভিযোগ, যখনই কন্যার সঙ্গে দেখা করতে যেতেন, তাকে সামনে আসতে দেওয়া হত না। ফোনেই কথা বলানো হত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy