বাবরি মসজিদ। ফাইল চিত্র।
যত শীঘ্র সম্ভব বাবরি কাণ্ড নিয়ে শুনানি হবে। বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর আবেদনে সাড়া দিয়ে শুক্রবার এ কথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি জে এস খেহর এবং বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ এ প্রসঙ্গে বলে, আসল বিষয়টি নিয়ে তালিকা তৈরি হচ্ছে। খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। স্বামী বাবরি কাণ্ডের জরুরি শুনানির আবেদন করেছিলেন শীর্ষ আদালতের কাছে। এ দিন তারই জবাব দিল আদালত।
আরও পড়ুন: গোরক্ষকদের কোনও জায়গা নেই দেশে, সুপ্রিম কোর্টে বলল কেন্দ্র
প্রায় ২৫ বছর ধরে ঝুলে রয়েছে রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্ক। অযোধ্যার ওই বিতর্কিত জমি কার তা-ও নির্ধারণ করা যায়নি। ২০১০-এ ইলাহাবাদ হাইকোর্ট এই মামলায় যে রায় দেয়, সুপ্রিম কোর্ট পরে তাতে স্থগিতাদেশ দেয়। ইলাহাবাদ হাইকোর্ট তার রায়ে জানিয়েছিল, অযোধ্যার বিতর্কিত কাঠামোটির মূল গম্বুজের নীচে যে অংশ, সেই অংশেই রামের জন্ম হয়েছিল এবং সেখানে উপাসনার অধিকার হিন্দুদের রয়েছে। বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি এই রায় মানেনি। তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। সেই থেকেই ফের ঝুলে রয়েছে বিতর্কের মীমাংসা।
বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী এর পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে মামলাটির নিষ্পত্তির দাবি জানান। এ বছর মার্চে সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি ওঠে। স্বামীর আবেদনের প্রেক্ষিতেই প্রধান বিচারপতি খেহর বলেন, ‘‘এটা ধর্ম এবং ভাবাবেগের বিষয়। প্রথমে এক সঙ্গে বসুন এবং রফায় পৌঁছনোর চেষ্টা করুন। দু’পক্ষই মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করুন এবং বৈঠক করুন।’’ প্রয়োজন পড়লে তিনি নিজেও মধ্যস্থতা করবেন বলে জানিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। কিন্তু সে পর্যন্তই। কোনও পক্ষই বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নিতে আগ্রহ দেখায়নি। রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্কের সঙ্গে যে পক্ষগুলি সরাসরি যুক্ত, তাদের অনেকের কাছেই কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ গ্রহণযোগ্য হয়নি। বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ কাসিম ইলিয়াস বলেছেন, ‘‘আলোচনা এবং মধ্যস্থতার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে এবং আবার নতুন করে তা হওয়া সম্ভব নয়।’’ ইলিয়াস আরও বলেছেন, ‘‘ভারতের প্রধান বিচারপতি নিজে মধ্যস্থতা করবেন বলে যে প্রস্তাব এসেছে, তা আমরা মানতে পারছি না।’’ ফলে বাবরি মামলার কার্যত খুব একটা অগ্রসর ঘটেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy