আয়কর দফতরের পর বিবিসির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু ইডির। — ফাইল ছবি।
‘ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন’ (বিবিসি)-এর বিরুদ্ধে বিদেশি মুদ্রা লেনদেন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা নথিভুক্ত করেছে ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট’ (ইডি)। ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ সংবাদপত্রে প্রকাশিত এই সংক্রান্ত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, দু’সপ্তাহ আগে মামলাটি দায়ের করেছে ইডি। ইতিমধ্যে ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমটির ভারতীয় শাখার অন্যতম এক ডিরেক্টর-সহ ছয় কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়ে গিয়েছে ইডির।
মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন গুজরাতের হিংসায় নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে গত ১৭ জানুয়ারি দুই পর্বের একটি তথ্যচিত্র, ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ সম্প্রচার করেছিল বিবিসি। তাতে আপত্তি জানিয়ে গত ২০ জানুয়ারি তথ্যচিত্রের প্রথম পর্বটি দেশে নিষিদ্ধ করে মোদী সরকার। বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে দাবি করে, মোদীর চরিত্র হনন করতেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই তথ্যচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে। ঘটনাচক্রে, ফেব্রুয়ারি মাসে বিবিসির দিল্লি এবং মুম্বইয়ের অফিসে ম্যারাথন অভিযান চালায় আয়কর দফতর। বলা হয়, আয়কর সংক্রান্ত বিভিন্ন বেনিয়মের সন্ধান পেয়েছেন তারা। আয়কর দফতর যদিও একে অভিযান বলে অভিহিত করেনি। আয়কর কর্তাদের দাবি ছিল, ‘সমীক্ষা’ করতেই বিবিসির অফিসে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু ‘সমীক্ষা’র সময়কাল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সেই ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতেই এ বার বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে বিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করে তদন্তের কাজ শুরু করে দিয়েছে ইডি বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, ইডি ‘ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট’ (ফেমা) আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে ‘বিবিসি ইন্ডিয়া’র বিরুদ্ধে। বিবিসিতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়ম হয়েছে বলে মনে করছেন ইডির তদন্তকারীরা। এই সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সংস্থার কর্তাদের বয়ান রেকর্ডও করতে চায় কেন্দ্রীয় এজেন্সিটি।
গুজরাত হিংসার উপর নির্মিত বিবিসির তথ্যচিত্রটিতে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদীকে যে ভাবে দেখানো হয়েছে, তার সঙ্গে একমত নয় বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকার। তথ্যচিত্রের প্রথম পর্বটি দেশে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি, কেউ যাতে তা দেখতে না পান, সে জন্য টুইটার, ইউটিউবকে তথ্যচিত্রটি নামিয়ে ফেলারও নির্দেশ জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও তাতে হিতে বিপরীত হয় বলে দাবি বিরোধীদের। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিবিসির তথ্যচিত্রটি দেখানো হয়। বহু মানুষ তা দেখেন। ঘটনাচক্রে তার পরেই বিবিসির দফতরে হানা দেন আয়কর কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy