মোদী, পিকে এবং রাহুুল। নিজস্ব চিত্র।
রাহুল গাঁধীকেই কংগ্রেসের সমস্যার কারণ বলে চিহ্নিত করলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (পিকে)। সেই সঙ্গে বুধবার গোয়ায় তাঁর ‘পূর্বাভাস’ আগামী কয়েক দশক ভারতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে বিজেপি।
কয়েক মাস আগেও জল্পনা ছিল তিনি কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন। এমনকি, তাঁর জন্য এআইসিসি-তে ‘বিশেষ পদ’ তৈরি হতে পারে বলেও শোনা গিয়েছিল। কিন্তু প্রশান্তের সঙ্গে কংগ্রেসের সেই আলোচনা ভেস্তে গিয়েছে বলেই বর্তমানে রাজনৈতিক মহলের খবর।
এই পরিস্থিতিতে বুধবার গোয়ায় নেটমাধ্যমে একটি প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘জিতুক বা হারুক আগামী কয়েক দশক বিজেপি ভারতীয় রাজনীতির কেন্দ্রে থাকবে। যেমন স্বাধীনতার পরবর্তী ৪০ বছর ছিল কংগ্রেস। ভারতে এক বার যদি ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে গেলে দ্রুত প্রস্থানের সম্ভাবনা নেই।’’ প্রসঙ্গত, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে দেশ জুড়ে বিজেপি ৩৭ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছিল।
প্রশান্ত আরও জানান, দেশের মানুষ ক্রমশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কার্যকলাপে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। তাঁর কথায়, ‘‘এ বার হয়তো মানুষ মোদীকে ফেলে দেবে। কিন্তু বিজেপি কোথাও যাচ্ছে না। তারা এখানেই থাকবে এবং পরবর্তী কয়েক দশক ধরে লড়াই চালাবে।’’
মোদী এবং বিজেপি-র শক্তির মূল্যায়নে রাহুলের ভাবনায় ভুল রয়েছে বলে মনে করেন প্রশান্ত। তিনি বলেন, ‘‘তিনি (মনে) করেন এটি শুধু সময়ের অপেক্ষা। মানুষই তাঁকে (মোদী) সরিয়ে দেবে। কিন্তু তা হচ্ছে না। আপনি যদি প্রতিপক্ষের সঙ্গে শক্তিপরীক্ষা না করেন, তাঁর শক্তি সম্পর্কে আপনার উপলব্ধি না হয়, কখনোই তাঁকে হারাতে পারবেন না।’’
প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই প্রশান্ত টুইটারে লিখেছিলেন, লখিমপুর খেরির ঘটনায় কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধীদের দ্রুত ও স্বতঃস্ফূর্ত পুনরুজ্জীবনের সম্ভাবনা দেখে যাঁরা উচ্ছ্বসিত, তাঁদের জন্য বড় মনখারাপ অপেক্ষা করছে। দুর্ভাগ্যবশত, এই প্রাচীন দলের গভীর বদ্ধমূল সমস্যা ও কাঠামোগত দুর্বলতার কোনও চটজলদি সমাধান নেই।
পিকে-র মন্তব্য সম্পর্কে লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘প্রশান্ত কিশোর নতুন করে বিজেপি গুন গাইছেন। বর্তমানে উনি ভোটের ঠিকাদার। আগে মোদীর হয়ে ভোট করেছেন, এখন মমতার হয়ে ভোট করছেন। আজকে যখন বিরোধী দল একত্রিত হচ্ছে তখন মমতার পরামর্শ দাতা প্রশান্ত কিশোর বিরোধিতা করছেন। বলছেন, মোদীকে সরানো যাবে না। যে বেশি টাকা দেবে তার হয়ে ভোট করে করেন উনি। নতুন করে টাকা নিয়ে বিজেপিকে ভালো জায়গা করে দিতে চাইছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy