বর্ষা এলে আরও ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারে জোশীমঠে। ফাইল চিত্র।
লম্বায় ৫০০ মিটারের বেশি। চওড়ায় প্রায় ২ ফুট। উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠ চিরে চলে গিয়েছে এমনই এক ফাটল। গঢ়বাল হিমালয়ের বুকে পাহাড় কেটে তৈরি শহরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং সমীক্ষা করে রাজ্য সরকার পরিচালিত শ্রী দেব সুমন উত্তরাখণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চার সদস্যের ভূতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ দল জানিয়েছে, বর্ষা এলে আরও ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারে!
ডিসেম্বর থেকেই মাটি বসে যাওয়ার কারণে জোশীমঠের বিভিন্ন বাড়িতে ফাটল নজরে আসতে শুরু করে। প্রাথমিক সমীক্ষায় জানা যায়, শহরের ২৫ শতাংশ এলাকার জমি ধসে যাচ্ছে, যেখানে অন্তত ২৫ হাজার মানুষের বাস। ওই এলাকাগুলি থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয় জানুয়ারি থেকে। কিন্তু এখনও জোশীমঠে বহু মানুষ রয়ে গিয়েছেন।
গত ২৫-২৮ জানুয়ারি জোশীমঠের জমি পর্যবেক্ষণ করে চার সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল জানিয়েছে, মনোহরবাগ-সহ কিছু এলাকায় বিপজ্জনক ভাবে ফাটল ধরেছে । ফি বর্ষাতেই গঢ়বাল হিমালয়ের বিভিন্ন অংশে পাহাড়ের ঢালে ধস নামে। জোশীমঠে তা মারাত্মক আকার নিতে পারে বলে রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ দলের এক ভূতত্ত্ববিদ বলেন, ‘‘এ বারের বর্ষাতেই বোঝা যাবে, জোশীমঠের অস্তিত্ব থাকবে কি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy