মনজিৎ কাউর। ছবি সৌজন্য টুইটার।
কৃষক আন্দোলনে সামিল হতে এ বার সুদূর পটিয়ালা থেকে দিল্লির সিংঘু সীমানায় হাজির হলেন বছর বাষট্টির মনজিৎ কাউর। ঘরের ছেলেরা নিজেদের দাবি আদায়ে ঠান্ডা উপেক্ষা করে দিল্লিতে বসে রয়েছেন। তাই তিনি আর চুপ করে ঘরে বসে থাকতে পারেননি। কয়েক জন সঙ্গীকে নিয়ে নিজেই জিপ চালিয়ে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার উজিয়ে সিংঘু সীমানায় হাজির হয়েছেন মনজিৎ। একটাই লক্ষ্য, এই আন্দোলনে কৃষকদের পাশে থেকে আরও জোরদার লড়াইয়ের বার্তা দেওয়া।
কৃষক আন্দোলন মঙ্গলবার ২৭ দিনে পড়ল। সমস্যার সমাধান কবে হবে তার কোনও দিশা নেই। সরকার এবং কৃষক দু’পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড়। ফলে যত দিন যাচ্ছে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হচ্ছে। তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠকে বসবে কৃষক সংগঠনগুলো। ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন(বিকেইউ)-এর মুখপাত্র রাকেশ টিকায়েত দাবি করেছেন, “সরকারের কাছ থেকে তাঁরা কোনও ডাক পাননি এখনও। কৃষিমন্ত্রী বৈঠকে বসার আহ্বান জানাননি। তিনি আরও জানান, সরকার যত ক্ষণ না এই ৩টি আইন প্রত্যাহার করছে, কৃষকরা তাঁদের অবস্থান থেকে পিছু হঠবে না। টিকায়েতের কথায়, “সরকারকে আমাদের কাছে আসতে হবে।”
62 Year old Manjeet Kaur, drove from Patiala to #SinghuBorder to join protest.#FarmersProtest #KisanAandolan pic.twitter.com/jORrkE3O5Y
— Kisan Ekta March (@KisanEktaMarch) December 21, 2020
অন্য দিকে, সোমবার রাতেও সিংঘু সীমানায় আন্দোলনরত এক কৃষক বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দু’দিন আগেই আরও এক কৃষক আত্মহত্যা করেছিলেন। সকাল থেকেই দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানায় ৯ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছেন কৃষকরা। জাতীয় সড়কের উপর বসে বিক্ষোভ শুরু করেছেন তাঁরা। ফলে দিল্লি থেকে গাজিয়াবাদ যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আটকে পড়েছে বহু যানবাহন। অন্য দিকে, গত ৯ দিন ধরে অবরুদ্ধ দিল্লি-জয়পুর হাইওয়ে।
কৃষক আন্দোলনকে জোরদার করতে মহারাষ্ট্র থেকে সোমবারই রওনা দিয়েছেন কয়েক হাজার কৃষক। অন্য রাজ্যের কৃষকদেরও এই আন্দোলনে সামিল হওয়ার আর্জি জানিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy