ফাইল চিত্র।
কোচবিহার: সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাজের এলাকা বাড়ানো নিয়ে রাজ্যের তরফে সরকারি স্তরে এখনও কোনও মত জানানো হয়নি। প্রশাসনিক সূত্রে জানানো হয়েছে, পুজোর ছুটির পরে অফিস খুললে এ ব্যাপারে সরকারি অবস্থান স্পষ্ট করা হবে। তবে উপনির্বাচনের প্রচারে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিষয়টিকে রাজনৈতিক মঞ্চে নিয়ে এলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিঁধে তাঁর বক্তব্য, এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনিক এলাকা দখলের চেষ্টা।
পশ্চিমবঙ্গ-সহ সীমান্তবর্তী রাজ্যে বিএসএফের কাজের এলাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে এই রাজ্যগুলির ভিতরে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় কাজ করতে পারবে বিএসএফ। সেই প্রসঙ্গ টেনে রবিবার দিনহাটায় নির্বাচনী সভায় ফিরহাদ বলেন, ‘‘আপনাদের উপরে বিএসএফ-কে দিয়ে অধিকার নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এমনি পারবে না। আমাদের পুলিশ রাজ্য পুলিশ। তাই বিএসএফ দিয়ে কোচবিহার শাসন করার চেষ্টা করছে।’’ এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেদের মনোভাব স্পষ্ট করে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘ওরা জানে না, আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। আমরা প্রতিবাদ করতে জানি। বিএসএফ দিয়ে দখল করাতে পারবে না। সেনা দিয়ে দখল করাতে পারবে না! দখলদারির রাজনীতি করা হচ্ছে।’’
তৃণমূলের অভিযোগের জবাবে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক কালে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদের উত্থান গোটা দুনিয়ার কাছে একটা চ্যালেঞ্জ। সারা পৃথিবী যখন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়ছে, তখন তৃণমূল নেতৃত্ব ভোট-ব্যাঙ্কের স্বার্থে দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বলছেন।’’
কেন্দ্রীয় বাহিনীর এলাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্তে ‘শোলে’ সিনেমার খলনায়ক চরিত্রের কথা টেনে ফিরহাদের কটাক্ষ, ‘‘গব্বর সিং এটা বলেছিল, ‘পচাস পচাস ক্রোশ দূর তক’ সন্তান কাঁদলে মা বলেন, ঘুমিয়ে পড়। না হলে গব্বর চলে আসবে। এখন মোদী বলছেন, পচাস পচাস ক্রোশ দূর তক বিএসএফ কো ভেজেঙ্গে। মা কহেঙ্গে, বেটা শো যা নেহি তো নরেন্দ্র মোদি আ যায়েগা!’’
শমীকের পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘বিএসএফের কাজের ক্ষেত্র যখন ১৫ কিলোমিটার ছিল, তখন কি স্থানীয় মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছিল? গুজরাতে বিএসএফ-এর কাজের ক্ষেত্র যখন ৮০ কিলোমিটার ছিল, তখন কি কেউ কোনও সমালোচনা করেছিলেন?’’ অন্য দিকে, এসইউসি-র সাধারণ সম্পাদক প্রভাস ঘোষের দাবি, আফস্পা-র মতো ‘কালা কানুন’ প্রত্যাহারের দাবি করছেন মানুষ, সেই সময়ে বিএসএফের এলাকা বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সম্পূর্ণ উল্টো পথে হাঁটছে। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি করেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy