উদ্ধব ঠাকরে এবং শিন্ডের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে সুপ্রিম কোর্টের রায়। ফাইল চিত্র।
শিবসেনার বিধায়কদের ভেঙে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন এক বছর আগে। বিজেপির সাহায্য নিয়ে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন উদ্ধব ঠাকরেকে। সে দিন একনাথ শিন্ডে এবং তাঁর অনুগামীদের সেই পদক্ষেপ ‘দলত্যাগ বিরোধী কার্যকলাপ’ ছিল কি না, বৃহস্পতিবার সেই রায় ঘোষণা করবে সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এ কথা জানিয়েছে।
শিন্ডে শিবিরের বিদ্রোহের সময় বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার (তথা ভারপ্রাপ্ত স্পিকার) দলত্যাগী বিধায়কদের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেছিলেন। কিন্তু শিন্ডে শিবির জানিয়েছিল, ডেপুটি স্পিকারকে সরানোর জন্য আগেই বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করেছেন তাঁরা। তাই তাঁর কৈফিয়ত চাওয়ার অধিকার নেই। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়কে হাতিয়ার করেছিল তারা।
২০১৬ সালে অরুণাচল প্রদেশে ক্ষমতার পালাবদল নিয়ে ‘নাবাম রেবিয়া বনাম ডেপুটি স্পিকার’ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি জেএস খেহর এবং বিচারপতি দীপক মিশ্রর রায় ছিল, ‘‘স্পিকারকে পদচ্যুত করার জন্য প্রস্তাব জমা পড়লে, দলত্যাগী বিধায়করা দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় পড়বেন কি না, তা নিয়ে তিনি পদক্ষেপ করতে পারবেন না।” আদালতের বৃহত্তর সাংগঠনিক বেঞ্চে এই রায়কে পুনর্বিবেচনা এবং পুনর্মূল্যায়ন করার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল উদ্ধব শিবির। সেই মামলারই রায় দেবে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ।
শিন্ডে এবং তাঁর অনুগামী বিধায়কদের পদক্ষেপকে শীর্ষ আদালত ‘দলত্যাগ বিরোধী’ বললে তাঁরা পদ হারাতে পারেন। সে ক্ষেত্রে উজ্জ্বল হতে উদ্ধবের নেতৃত্বাধীন ‘মহা বিকাশ অঘাড়ী’ জোটের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা।’’ শিবসেনা ভেঙে সিংহভাগ বিধায়ককে নিয়ে আলাদা দল গড়েছিলেন একনাথ শিন্ডে। সে সময় বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার দলত্যাগী বিধায়কদের অবস্থান জানাতে বলেছিলেন। কিন্তু শিন্ডে শিবির জানিয়েছিল, ডেপুটি স্পিকারকে সরানোর জন্য প্রস্তাব পেশ করেছেন তাঁরা। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল শিবসেনার উদ্ধব শিবির।
প্রসঙ্গত, গত বছরের জুন মাসে শিবসেনায় ভাঙনের পরে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপির সাহায্যে উদ্ধবকে সরিয়ে সরকার গড়েছিলেন শিন্ডে। তবে বালাসাহেব ঠাকরের প্রতিষ্ঠা করা শিবসেনার নাম আর তির-ধনুক প্রতীকের উপরে অধিকার ছাড়তে চায়নি কেউই। বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষ নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়। সেই বিষয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সিদ্ধান্ত জানায় কমিশন। শিবসেনা নাম এবং প্রতীক ব্যবহারের অধিকার দেওয়া হয় শিন্ডে গোষ্ঠীকে। কমিশনের এই সিদ্ধান্ত একই সঙ্গে রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং অন্য দিকে বিপদসঙ্কেত বলে মনে করছে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy