দিনদুপুরে প্রৌঢ়ের পকেট থেকে ৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। শিলচর শহরের জনবহুল ট্রাঙ্ক রোড এলাকার ঘটনা। স্থানীয় জনতা এক ছিনতাইবাজকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তবে তার কাছে টাকা মেলেনি।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সুলতান হোসেন লস্কর। বাড়ি শিলচরের রংপুর এলাকায়, শিমূলতলায়। তার মানিব্যাগে একটি ব্লেড পাওয়া গিয়েছে।
তদন্তকারীরা জানান, একই অটোরিকশায় যাত্রী ছিলেন সুলতান, তার দুই সঙ্গী এবং সেচ বিভাগের চৌকিদার ইসকুল আলি বড়ভুঁইঞা ও তাঁর ছেলে। পিতাপুত্র আসছিলেন বড়খলার উজানগ্রামের বাড়ি থেকে। পথে ওঠে সুলতানরা। শিলচর ট্রাঙ্ক রোডে এসে সবাই নামে। এরই মধ্যে ৬০ ছুঁইছুঁই ইসকুল আলিকে ঘিরে ধরে সহযাত্রী তিন জন। ছেলে শার্দুল আলম ব্যাপারটি বুঝে ওঠার আগেই তারা প্রৌঢ়ের প্যান্টের পকেট থেকে জোরজবরদস্তি টাকা কেড়ে নেয়। তিনি চিৎকার করলে দুষ্কৃতীরা পালানোর চেষ্টা করে। দু’জন উধাও হয়ে গেলেও বাবা-ছেলে ধরে ফেলে সুলতানকে। স্থানীয় জনতা এগিয়ে গিয়ে উত্তম-মধ্যম দিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তদন্তকারী পুলিশ অফিসার মন্টুরাম বরা জানান, সঙ্গী দু’জনকেও খুঁজে বের করা হবে। মারপিটে জখম বলে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি। চিকিৎসার জন্য শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইসকুল আলি জানান, তাঁর স্ত্রী আলম আরা অনেক দিন ধরে ব্যথা-বেদনায় ভুগছেন। কয়েক দিন আগে ডাক্তার দেখিয়েছিলেন। টাকার জন্য পুরো ওষুধ কিনতে পারেননি। আজ টাকার জোগাড় করে বেরিয়েছিলেন ওষুধ কিনতে।
ইস্কুল আলমের মতো শার্দুলেরও আক্ষেপ, ‘‘মায়ের জন্য ওষুধ নিয়ে যাওয়া হল না! আর কবে যে ৪ হাজার টাকা জোগাড় হবে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy