ফাইল চিত্র।
ভারতীয় বায়ুসেনার পর এ বার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কিনতে সক্রিয় হল নৌবাহিনী। ভারতীয় নৌসেনা সূত্রের খবর, বিমানবাহী রণতরীর জন্য প্রাথমিক ভাবে আমরিকার বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা বোয়িংয়ের তৈরি ‘এফ-এ ১৮ সুপার হর্নেট’ (আমেরিকার নৌবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত) বা ফরাসি যুদ্ধবিমান নির্মাতা সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশনের তৈরি ‘মেরিন রাফাল’ (ফরাসি নৌবাহিনী ব্যবহৃত) পছন্দের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার নৌসেনার তরফে জানানো হয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে গোয়ার নৌঘাঁটি আইএনএস হংস থেকে দু’টি যুদ্ধবিমানের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে শীঘ্রই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় সংক্রান্ত কমিটি (ডিএসি)। অতীতে ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য বরাত পাওয়ার দৌড়েও রাফালের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল সুপার হর্নেট। শেষ পর্যন্ত দাম এবং অন্য সুবিধা যাচাই করে ফরাসী সংস্থাটিকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল।
বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রামাদিত্যে এবং আইএনএস বিক্রান্তে ব্যবহারের জন্য কয়েক বছর আগেই রুশ মিগ-২৯কে-র পরিবর্ত খুঁজতে শুরু করেছিল ভারতীয় নৌসেনা। বেশ কয়েক বার বিক্রমাদিত্যে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হালকা যুদ্ধবিমান তেজসের ‘অ্যারেস্টেড ল্যান্ডিং’ পরীক্ষাও হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছে, ‘অ্যারেস্টর হুকের সাহায্যে ৯০ মিটারের মধ্যে গতিবেগ ২৪৪ কিলোমিটার থেকে কমিয়ে শূন্যে নামিয়ে আনতে পেরেছে তেজস। কিন্তু অস্ত্রবহন ক্ষমতা এবং দূরপাল্লার উড়ানের ক্ষেত্রে আমেরিকা ও ফরাসি যুদ্ধবিমান তেজসের তুলনায় এগিয়ে। তাই শেষ পর্যন্ত রাফাল বা সুপার হর্নেট বেছে নিতে চলেছে নৌসেনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy