প্রতীকী চিত্র।
রোগিণীর সঙ্গে গড়ে উঠেছিল প্রেমের সম্পর্ক। তা গভীর হতেই চিকিৎসকের সঙ্গে থাকার দাবি জানান ওই মহিলা। তাতে রাজি ছিলেন না চিকিৎসক। এক সঙ্গে থাকার জন্য জোর করায় মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন ওই চিকিৎসক। খুনের প্রায় দেড় মাস পর সামনে এসেছে সেই ঘটনা। শনিবার গাজিয়াবাদ থেকে অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
৭ সেপ্টেম্বর থেকে নিঁখোজ ছিলেন ওই মহিলা। তখন গাজিয়াবাদ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁর স্বামী। কিন্তু তাঁর আর খোঁজ পায়নি পুলিশ। ১৫ অক্টোবর হরিয়ানা পুলিশের থেকে ফোন পায় গাজিয়াবাদ থানা। তারা জানায় কুরুক্ষেত্রের কাছে একটি মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার পর পুলিশ সেটি নিখোঁজ মহিলার দেহ হিসাবে শনাক্ত করে। তখন তার কললিস্ট পরীক্ষা করে ওই চিকিৎসকের নম্বর পাওয়া যায়। পুলিশি জেরার মুখে গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করে নেন ওই চিকিৎসক।
পুলিশ জানিয়েছে, খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম ইসমাইল। তিনি গাজিয়াবাদের দসনাতে গত ৫ বছর ধরে একটি ক্লিনিক চালাতেন। বেশ কয়েকমাস সেখানেই চিকিৎসা করাতে আসতেন ওই মহিলা। সেই সূত্রেই তাঁদের দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তার পর চিকিৎসকের সঙ্গে থাকার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন ওই মহিলা। ওই মহিলার চারটি সন্তান রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে চিকিৎসকও বিবাহিত। তিনি মহিলার সঙ্গে থাকার প্রস্তাবে রাজি ছিলেন না। কিন্তু ওই মহিলা থাকার জন্য জোর করতেই খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ইসমাইল।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশের লক আপে ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ মহিলার
সেখানকার পুলিশ সুপার নীরজ কুমার বলেছেন, ‘‘খুনের পরিকল্পনার অঙ্গ হিসাবে মহিলার সঙ্গে চণ্ডীগড়ে থাকার কথা বলেছিলেন ইসমাইল। ৭ সেপ্টেম্বর পাহাড়গঞ্জে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁকে। যদিও সেখানে তাঁরা হোটেলে ছিলেন না। পরের দিন গাড়িতে ওই মহিলাকে নিয়ে চণ্ডীগড়ের উদ্দেশে রওনা দেন ইসমাইল। যাওয়ার পথেই ঝামেলা হয়ে তাঁদের মধ্যে।’’ সে সময় ওই মহিলার শ্বাসকষ্ট হয়েছিল। ওই মহিলার হাঁপানির সমস্যা ছিল বলেও পুলিশকে জানিয়েছে ইসমাইল।
ওই পুলিশ অফিসার বলেছেন, ‘‘শ্বাসকষ্ট শুরু হতেই ইসমাইল তিনটি ওষুধ মিশ্রিত ইনজেকশন দিয়েছিলেন। তাতেই অচৈতন্য হয়ে পড়েন ওই মহিলা। তখন তোয়ালে দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করেন ইসমাইল। তার পর কুরুক্ষেত্রের ফাঁকা এলাকায় দেহ ফেলে পালিয়ে আসেন।’’ এই ঘটনায় ইসমাইলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ২০১ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই অফিসার।
আরও পড়ুন: লাদাখে শীতের মোকাবিলা করতে আমেরিকার পোশাক ও সরঞ্জাম আনছে ভারত
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy